ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে এক চিকিৎসক রোগীকে পিটিয়ে মাথায় ফাটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের রক্তাক্ত ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বইছে সমালোচনার ঝড়। এ বিষয়ে মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ লক্ষী নারায়ন জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল শাখার বর্হি:বিভাগে গত ৮ জুলাই সকালে দশ টাকা টিকেট কেটে চিকিৎসা সেবা পেতে যান ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র তরুন মিয়া(২৫)। এ ডেন্টাল ডাক্তার ডা: এ.কে.এম আনিসুর রহমান বাবলুর নির্ধারিত কক্ষের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন তরুন। কিন্তু কিছুক্ষন রোগী দেখার পর ডা: বাবলু কক্ষ থেকে বের হয়ে রোগীদের লাইনে রেখে বের হয়ে যান। ফিরে আসেন প্রায় ঘণ্টাখানে পর।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র মো. তরুন মিয়া বলেন, ডাক্তার ফিরে আসার পর আমি কক্ষে ঢুকতেই ডাক্তার বলেন বেরিয়ে যাও এখন আমি রোগী দেখব না। এ সময় আমি বলেছি স্যার কাল আমার পরীক্ষা আছে, আমাকে আজকে একটু দেখে দেন। পরে আসতে আমার অসুবিধা হবে। এতেই ক্ষেপে যান ডাক্তার। এ সময় তিনি চর-থাপ্পড় মেরে রোগী বসার ঢোল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছেন। এ ঘটনায় অন্য রোগীরা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তরুনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। সেই সাথে ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডিপার্টমেন্টালি জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, ডা: বাবলুর কাছে কিছু দিন আগে নগরীর মুন্সিবাড়ী এলাকার মাজেদা বেগম এবং তার মেয়ে লিজা হাসপাতালের বর্হি বিভাগের টিকেট কেটে চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তু না বলে কক্ষে প্রবেশ করায় ডা. বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওই মা-মেয়েকে দালাল অপবাদ দিয়ে হাসপাতালের ফাঁড়ি পুলিশের হাতে সোর্পদ করে। পরে স্বজনরা এসে মা-মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এবিষয়ে জানতে একাধিকবার ডা: এ.কে.এম আনিসুর রহমান বাবলুর ব্যকহৃত মুঠোফেঅনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন