শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নারীর ক্ষমতায়নই সব সমস্যার সমাধান -স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৯, ৬:১২ পিএম

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন বাড়লে জনসংখ্যার মতো সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারী শিক্ষিতের হার বাড়ালে খুব সহজেই তার ক্ষমতায়নও বেড়ে যাবে। সেই কাজটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চলমান রয়েছে। দেশের নারীরা শিক্ষিত হলে জনসংখ্যাসহ সব বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারবে। এতে সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলেছেন জাহিদ মালেক

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন’। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮-১৯ প্রদান করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। এ বছর মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে প্রিন্ট মিডিয়া (প্রথম স্থান) পুরষ্কার পান দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেল ( হাসান সোহেল) এবং দৈনিক যুগান্তরের সাব-এডিটর রীতা ভৈৗমিক। টেলিভিশন মিডিয়া (প্রথম স্থান) পুরষ্কার পান গাজী টেলিভিশনের চীফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ এবং ডিবিসি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তাহসিনা সাদেক জেসি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। দেখা গেছে দেশের ১৫ শতাংশ লোক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এজন্য তাদের সেবা নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে যেতে হবে। আমাদের কর্মীদের কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতিও বাড়াতে হবে। কেন্দ্রগুলোও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে সেখানে মানুষ যেতে আকৃষ্ট হবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখনো ৫০ শতাংশের কাছাকাছি মায়ের অপ্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি হচ্ছে। এই হারকে আমাদের অবশ্যই কমাতে হবে। তা না হলে মাতৃমৃত্যুহার হার শূণ্যের কোঠায় আনা সম্ভব হবে না। তবে আমাদের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার আরও কমাতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৭৪-এর ২ দশমিক ৬১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ১৯৭৫ সালে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এখন আমাদের আরো উদ্যমী হয়ে নবদম্পতি, কিশোরী মাতৃত্ব, দরিদ্র-নিরক্ষর ও দুর্গম অঞ্চলের সক্ষম দম্পতিদের চিহ্নিত করে তাদের কাছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দেয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচি এগিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধে সরকারের বহুমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৯-এ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মে) হ্রাস পেয়েছে। এরপরও আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কেননা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ৭০-এর নিচে এবং নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ১৬ থেকে ১২-তে নামিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রফেসর আ ফ ম রুহুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি আশা টোর্কেলসন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএমের পরিচালক ডা. আশরাফুন্নেসা প্রমুখ।

এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের শ্রেষ্ঠ কর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রী কর্মীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
saju ahmed ১২ জুলাই, ২০১৯, ১০:৫৭ এএম says : 0
সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়বহুলতার এক অনন্য সেবাদানকারী এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ মেজর পদাধিকার বলের কর্মকর্তা হচ্ছেন এই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাচার্য। ( সঠিক জানা নাই)। উপাচার্য নাকি অন্য কিছু বলে । নার্সিং সেবার মান নিয়ে কোন কথা বলবোনা। এখানে নার্সিংয়ের নিয়োগ পেতে পুর্বশর্ত কি সার্টিফিকেট নাকি সাথে অভিজ্ঞতার আলোকে পারদর্শিতার কারনেই নিয়োগদান করা হয় ? অনভিজ্ঞ / অযোগ্যতা সম্পন্ন একজন নার্সকে কি করে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ দিলো?। আবার সিরিয়াস রোগীদের তাৎক্ষণিক প্রয়েজনীয় দেখবাল করার দায়িত্ব দিয়ে দায়সারাভাবে ডাক্তারগন দায়িত্ব এড়িয়ে যান । সেবা দিবে দুরে থাক, নিয়োগ পাওয়াটাই বোধগম্য নয় আমার । হাতে মেহেদী লাগানো সাজ সজ্জায় পরিপাটি হলেও নার্সিংয়ের মত পেশায় এতোটা অযোগ্যদের স্থান তো এখানে নয়!! ক্যানোলা লাগাতে এসে কর্তব্যরত এই নার্স ব্যর্থ হলো পারলোনা । ক্যানোলা লাগানোর জন্নে মেডাম চার/ পাঁচবার হাতের রগ বুজেই ঢুকাচ্ছেন আর বের করছেন কিন্তু রগ খোঁজে পাচ্ছেননা । অথচ রোগী আমার, আমি বুজতেছি কেমন লাগতেছে । অবশেষে সিনিয়র বয়স্ক একজনকে ডেকে আনার পর ক্যানোলা দুই মিনিটে লাগিয়ে দিলো। শুধু নার্সিংয়ে তাই নয় ! একজন অর্থোপ্যটিক রোগীর অপারেশন করার পরে, ডাক্তারের কি দায়িত্ব নেই ? অপারেশনের পরে ইন্টার্নি ডাক্তাররা উল্টো প্লাস্টার করাটা কি আমার বেলায়ই হতে হবে? সময়ই আমার সাথে এতোটা বিট্রে করছে নাকি ডাক্তার নার্সগন প্রতিক্ষন প্রতি মুহুর্তে সাধারন রোগীদের সাথে প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছে আল্লাহপাক জানেন । টাকাও তো খরচ কম নয়! রোগীকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে, অন্যকিছুতে স্ট্রেচারে উঠিয়ে নিতে হলে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের ২ শত টাকার কমে কখনোই নিবেনা। টাকা না দিলে রোগীর জন্নে প্রয়োজনীয় বস্তুটিও দিবেনা, পাশে নিয়ে দাড়িয়ে দেখবে কি করে দোতলায় অথবা পরিক্ষা নিরিক্ষার কারনে অন্যকোন ওয়ার্ডে রোগীকে নিয়ে যায় কি করে তাকিয়ে থেকে তামাশা দেখেই শেষ পর্যন্ত দুইশত টাকার টার্গেট পুরন করেই ছারবে । অথচ কর্তব্যরত ডাক্তার যিনি প্রথম রেফারেন্সে ভর্তি করিয়েছেন উনি আসার পরে যখন জানানো হয়, তখন এই ক্যানোলা লাগানো নার্স আর অপারেশন করার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে কিছুই বলার থাকেনা ।কারন উনি রেফারেন্সে ভর্তি করিয়েছেন ঠিকই । রোগী প্রাপ্য চিকিৎসার কারনে ট্রান্সফার হওয়াতে আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে সকল কিছুর অবসান ঘটে ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন