সাতক্ষীরার আলিপুর ইউনিয়নের পূণঃনির্বাচনে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি’র আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন, ৪০৬৮ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান পেয়েছেন ১৩৯৬ ভোট। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আলিপুর ইউনিয়নের পাঁচটি কেন্দ্রে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে আলিপুর ইউনিয়নে চারটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬০৫০ ভোট। আর মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১৭২১ ভোট।
উল্লেখ্য, আলিপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডের চারটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার কেটে বাক্সে ঢোকানোসহ ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা কমিশনে আবেদন করলে কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই এই চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকা প্রতিকের মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান পেয়েছিলেন ১৭২১ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতিকের মোঃ আব্দুর রউফ পেয়েছিলেন ৬০৫০ ভোট। এই চারটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করেন। অন্য পাঁচটি কেন্দ্রেও ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করে ভোট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ঘোষিত ফলাফল বাতিল এবং পাঁচ কেন্দ্রে পূণরায় ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন করেন আদালতের কাছে। দীর্ঘদিন মামলাটি শুনানীর পর মহামান্য উচ্চ আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বাকী পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৭ জুন নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকী পাঁচটি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আর নির্বাচন কমিশন ব্যালট ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলো সকাল আট টায়। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, ম্যাজিষ্ট্রেট, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের একাধিক দল বিরামহীনভাবে মাঠে কাজ করেছেন। প্রশাসনের আশ্বাসে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন পছন্দের প্রার্থীকে। ভোটার শফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আতাউর রহমানসহ অনেকেই জানান, নির্বাচনের মাঠে প্রশাসনের কমাকর্তাদের ভ’মিকা ছিলো প্রশংসনীয়। সকালে নৌকার পক্ষের কিছু লোকজন জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে ভোট কেটে নেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসন তা কঠোর হাতে দমন করে। একই সাথে ভোটারদের ভোটদানে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন