বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে তিনগুন। ফলে বেনাপোলসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুন-আমদানি ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের বাজার অস্তিতিশীল হয়ে উঠেছে বলে জানান বিক্রেতারা। ফলে বিপাকে পড়েছে ক্রেতাসাধারণ
মসল্লা হিসাবে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বেনাপোল, শার্শা নাভারন,বাগআঁচড়া ও গোগাসহ স্থানীয় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা সেখান থেকে বেড়ে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ২২ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায়। স্থানীয় বাজারে কমেছে দেশি ও বিদেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস বেড়েছে ক্রেতাদের। স্বল্প আয়ের মানুষেরা পড়ছেন বিপাকে। দাম কমানোর দাবি তাদের। ক্রেতা আব্দুল হাই, রহিমা খাতুন বলেন, ঈদের সময় পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও হঠাৎ করে বেড়ে গেছে দাম। ব্যবসায়ি ও আমদানিকারকদের কারসাজিতে দাম বাড়ছে বলে জানান তারা। সরকারের বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাদের।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত সরকার গত মাসে সে দেশের পেঁয়াজ রফতানিকারকের প্রনোদনা বন্ধ করে দেয়। ফলে বেনাপোল স্থলপথে পূর্বে এলসির পেঁয়াজ আমদানি সচল থাকে। প্রতি মে. টন পেঁয়াজ মানভেদে ১২০/১৫০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়। চলতি মাস থেকে কমে যায় পেঁয়াজ আমদানি। বেড়ে যায় দাম। তবে আমদানি ও সরবরাহ বাড়লে দাম কমার আশা ব্যবসায়িদের। বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন ও আলী রায়হান জানান, তারা মোকাম থেকে যখন যে দামে কেনেন সে দামেই বিক্রি করেন তারা। তবে দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়িরা।
স্থল বন্দর বেনাপোল বন্দর পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, গত জুন মাসের শেষ ১০ দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় ১ হাজার ৭শ ৭০ মে. টন। আর গত ৯ দিনে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪শ ৫৯ মে. টন পেঁয়াজ। তবে ভোমরা হিলিসহ অন্যবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ফারুক হোসেন জানান, পেঁয়াজ আমদানি ও দাম স্বাভাবিক রয়েছে। গত ২ দিন আগেও দাম ছিল কম। এসব ব্যবসায়িদের কারসাজি হতে পারে বলে জানান তিনি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন