‘যাবজ্জীবন’ কারাবাসের সময়সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্টের আদেশ যে কোনোদিন। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামিকাস কিউরি (আদালত সহায়ক আইনজীবী)গণের বক্তব্য উপস্থান শেষে বিষয়টি আদেশের জন্য ‘অপেক্ষমান’ রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চে বিষয়টির শুনানি হয়।
এর আগে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর একটি হত্যা মামলায় দুই আসামি আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদন্ড দেন অধস্তন আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিপক্ষ। আবেদনে দুটি রায় উদ্ধৃত করে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি আপিল বিভাগের দেয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে ‘আমৃত্যু কারাবাস’ সহ ৭ দফা অভিমত দেন। পরে আপিলের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে এ বিষয়ে বিজ্ঞ আইনজীবীদের মতামত শুনতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। এছাড়া অ্যামিকাস কিউরিগণের মতামত ও রিভিউ শুনানি গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান, মনসুরুল হক চৌধুরি, ব্যারিস্টার রোকউদ্দিন মাহমুদ এবং এএফ হাসান আরিফ। এছাড়া আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার শিশির মনির। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এটর্নিজেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন