বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অবশেষে মুখ খুললেন ডি ভিলিয়ার্স

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৯, ৭:০২ পিএম

বিশ্বকাপ শুরুর পরপরই হঠাৎই বোমা ফাঁটিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। অবসর ভেঙে নাকি বিশ্বকাপের দলে ফিরতে চেয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স, কিন্তু ম্যানেজমেন্ট তাতে সায় দেয়নি। তখন এর জবাবে কিছুই বলেননি এবি। অবশেষে এ নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন। বিশ্বকাপ দলে তাকে নেওয়ার জন্য কোনও রকমের দাবি করেননি বলে জানিয়েছেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী। বরং তাকে ‘জাতীয় দলের দরজা খেলা’ থাকার যে কথা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ থেকেই বলেছিলেন-প্রয়োজনে তিনি বিশ্বকাপ দলে খেলতে পারেন।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের বিপক্ষের হারের পরই সংবাদমাধ্যমে এসেছিল ডি ভিলিয়ার্স অবসর ভেঙে ফেরার ব্যাপারটা। তবে সেসবকে ‘ব্যক্তিগত কথাবার্তা ফাঁস ও বিকৃতি’ বলে তিনি জানিয়েছেন। বিশ্বকাপের সময় দলের মনযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি বলে তখন মুখ খোলেননি বলেও জানান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে, দলের মনযোগের ব্যাঘাত ঘটারও সুযোগ নেই, তাই এসব সমালোচনার ব্যাপারে কথা বলতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘অবসর ঘোষণার পর আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলা হয়েছিল আমার জন্য বিশ্বকাপে “দরজা খেলা আছে”। ‘এটা আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি কোনো প্রস্তাব দেয়নি।’ ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বা প্রোটিয়াদের সঙ্গে তখন আমার কোনো চুক্তি ছিল না। আমি তাদের কিছু বলিনি, তারাও আমাকে ডাকেনি। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রোটিয়ারা এগিয়ে গেছে। হেড কোচ ওটিস গিবসনের অধীনে ও ফাফ ডু প্লেসিসের দারুণ অধিনায়কত্বে দল সাফল্য উপভোগ করেছে।’
তাহলে ডু প্লেসিসের সঙ্গে তখন কী কথা হয়েছিল তার? তিনি বলেন, ‘ফাফ ও আমি স্কুল থেকেই বন্ধু। বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার দুই দিন আগে তার সঙ্গে আমার চ্যাট হয়। আমি তখন আইপিএলে খেলছিলাম, দারুণ ফর্মে ছিলাম। আমি তাকে এমনিই বলেছিলাম, এক বছর আগে আমাকে যে বলা হয়েছিল প্রয়োজন হলে আমার দরজা খোলা কিনা (সেক্ষেত্রে) আমাকে পাওয়া যাবে। তবে যদি এবং কেবল যদি আমার প্রয়োজন পড়ে।’
কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই কোনোরকম দাবি করিনি। অবশ্যই টুর্নামেন্টের আগে দলে ঢুকতে জোর করিনি, দলে ডাক পাওয়ার প্রত্যাশাও করিনি। আমার পক্ষ থেকে জোরালো কোনও ব্যাপার ছিল না, অন্যায্য কিছুও ছিল না।’
তাদের কথাবার্তা কীভাবে প্রকাশ হয়েছে, সেটাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘এই গল্প অবশ্যই আমার বা আমার সঙ্গে থাকা কারও পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। ফাফও করেনি। হয়তো কেউ সমালোচনা চাইছিল। আমি জানি না।’
তবে এর ফলে তার উপর সবাই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেছে বলে মনে করেন তিনি, ‘এর ফলে যা হলো, আমাকে অন্যায্যভাবে অহংকারী, স্বার্থপর, দ্বিধাগ্রনস্থ বলা হলো। তবে সব রকমভাবেই আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমি সততার সঙ্গেই অবসর নিয়েছি, এবং আমাকে যখন বলা হয়েছে বিশ্বকাপের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে কিনা, আমি রাজি হয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই (আমাকে ছাড়াই) টুর্নামেন্টে দল এগিয়ে গেছে। আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার কারও ওপর কোনও রাগ নেই।’
ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বলেন, ‘আমি আমার দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলে এবং নেতৃত্ব দিয়ে অনেক বেশি গর্বিত। প্রোটিয়াদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আগের মতোই দৃঢ় থাকবে। যে খেলা ও দল আমাকে দারুণ বন্ধুত্ব ও অনেক সুযোগ দিয়েছে, আমার জীবন গড়েছে, তাদের প্রতি আমার সমর্থন জানাতে চাই এই অস্বস্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতেও।’
আচমকা অবসরের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘প্রথমত আমি অবসর নিয়েছিলাম আমার কাজের পরিমাণ কমিয়ে আমার স্ত্রী ও পুত্রদের সময় দিতে, টাকার জন্য নয়। ঘরের বাইরে থাকার সময় আট মাস থেকে তিন মাসে নামিয়ে এনেছি আমি।’ বড় বকৃতায় আরো জানান, ‘আমি এখন আমা পরিবারকে সময় দিতে থাকব এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বজুড়ে টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Shahaharia Ahmmed ১২ জুলাই, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম says : 0
অবসর না ভাঙ্গা ভালই করেছেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন