শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নিয়ন্ত্রণহীন নরসিংদীর মসলার বাজার

প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৩০, রসুনে ৫০, এলাচে ৮শ’ টাকা বৃদ্ধি

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অত্যাবশ্যকীয় মসলা, পেঁয়াজ, রসুন মরিচের বাজারে ব্যপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

রসুনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর দ্বিতীয় দফায় মসলা সিন্ডিকেট থাবা বিস্তার করেছে অত্যাবশ্যকীয় মসলা ও সবজি পেঁয়াজ ও এলাচের বাজারে। সপ্তাহাধিককালে পেঁয়াজ রসুন ও এলাচের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নরসিংদীর মসলার বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মসলার এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। ২৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের কেজি প্রতি মূল্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ৭০ টাকা কেজির রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। রসুনের কেজিপ্রতি মূল্য বেড়েছে ৫০ টাকা। ১৫ দিন পূর্বে ১ কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ১৬শ’ টাকায়। পক্ষকালের ব্যবধানে এখন ১ কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৪শ’ টাকায়। এলাচের প্রতি কেজিতে মূল্য বেড়েছে ৮শ’ টাকায়।

মসলা সিন্ডিকেট রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও এলাচের বাজার তথা জনগণের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। এমনি করেই ঈদে মসলার চাহিদা সুযোগ নেই অবাধে মূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে শোষণ করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে।
মসলা সিন্ডিকেটের রয়েছে একশ্রেণীর আমদানিকারক এবং এক শ্রেণীর স্থানীয় আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী। অসৎ আড়তদার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে ভারত থেকে পেঁয়াজ রসুন আমদানি করা।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিু হয় ২০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এই ৪ লাখ টন পিঁয়াজের উৎপাদন ঘাটতিকে সামনে রেখেই ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় লক্ষ লক্ষ টন পেঁয়াজ।
এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন মৌসুম শেষ হয়েছে চৈত্র মাসে। বাজারে পেঁয়াজের আমদানিতে কোন কমতি নেই। এরপরও হঠাৎ করে মাত্র সপ্তাহাধিককালে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০/৩০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে মসলা সিন্ডিকেট। এরপর প্রায় প্রতিদিন দাম বেড়েই চলছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। বিগণ দুই দশকে পেঁয়াজ চাষের এরিয়া বৃদ্ধি পায়নি। উচ্চ ফলনশীল জাত এবং হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবনের ফলে উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু এই উৎপাদনের সুফল জনগণ ভোগ করতে পারে না। একশ্রেণীর আমদানিকারক ও অসৎ ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত মসলা সিন্ডিকেটের মনোপলি ব্যবসার কারণে প্রতিবছর সাধারণ মানুষকে বাড়তি মূল্যে পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়। কোন সরকারি মসলা সিন্ডিকেটের এই মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করতে পারছে না। উপরন্তু মসলার মনোপলি ব্যবসা করে দেশে একটি বিশেষ ধনিক শ্রেণীর সৃষ্টি হচ্ছে। কুরবানি ঈদের আগে রসুন ও মূল্য পেঁয়াজের মূল্যের সাথে সাথে বাড়িয়ে দিয়েছে এলাচের মূল্য।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন