ছোট একটি ঝুপটি ঘর। উপরে পাতলা টেউটিন দিয়ে চাপা ছাউনি। ঘরের চার পাশে দু‘চারখান টিন এবং হোগলা দিয়ে চাপা বেড়া।ওই ঘরের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে বসবাস করে হত দরিদ্র জেলে গোপাল ও তার স্ত্রীসহ তিন সন্তান-সন্তনি। নদীতে গেলে ঝালে মাছ মিললে ভাত, অন্যথায় মাথায় হাত। এভাবে শত অভাব অনটনের ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করে তারা। গত দশদিন পূর্বে ভোরবেলা পূজোর জন্য ফুল তুলতে গিয়ে প্রতিবেশী রনজিৎ মজুমদার(৫০) কর্তৃক ধর্ষনের শিকাড় হয় অভাবি গোপালের কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে। এই ধর্ষনের অভিযোগ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় শালিশ বৈঠকে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিধান চন্দ্র বড়াল ঘটনাটি শালিস মিমাংস করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন অসহায় পরিবারটিকে। ঘটনার ১০-১২দিন পার হলেও তারা ছোট খাট বৈঠক বসিয়ে বিষয়টির সুরহা না দিয়ে কেবল কালক্ষেপন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পরিবারটি সহ স্থানীয়দের।
তবে শালিস বিচারের কথা কিছুটা অস্বীকার করে ইউপি সদস্য বিধু জানান, বিষয়টি আমি এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছি। এ নিয়ে স্থানীয়রা শালিসে বসেছিল। রনজিৎ পলায়ন থাকায় বিচারে ধীরগতি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী হতদরিদ্র পরিবারটির পিতা সহ রনজিতের লালসার শিকাড় ওই মেয়েটি স্থানীয় সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে জানায়, ঘটনার দিন সকালে ওই সে পুজোর জন্য ফুল তুলতে রনজিতের বাসার সামনে যায়। এসময় রনজিত তাকে দেখে কথা শোনার জন্য কাছে ডাক দেয়। মেয়েটি এগিয়ে আসলে সে তাকে ঝাপটে ধরে শরীরে হাত দেয়। এসময় স্থানীয় অন্য এক প্রতিবেশি ঘটনাটি দেখে ফেললে রনজিত মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পর থেকেই রনজিৎ এখন এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
ঘটনাটি কিছুটা স্বীকার করে রনজিতের ছেলে অসিম মজুমদার জানান, ঘটনাটি স্থানীয়রা যেমন বড় করে রটাচ্ছে তেমন কিছু নয়। অতি ছোট খাট সামন্য কিছু হয়েছে তা স্থানীয় ইউপি সদস্য বিধু পরিবারটির সাথে মিমাংস করেছেন। মিমাংসর জন্য কোন টাকা পয়সা লাগছে কিনা জানতে চাইলে অভিযুক্ত র্ধষকের ছেলে অসিম মজুমদার আরো বলেন, এ জন্য মেয়ের পরিবার ও বাহ্যিক খরচের জন্য কিছু টাকা লাগবে বলে মেম্বর বিধু তাকে জানিয়েছেন। তবে কত টাকা লাগবে মেম্বর বিধু তাকে তা পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন