বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

সঙ্গীতশিল্পী সালমার স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করলেন তার সাবেক স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সঙ্গীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরীর সাবেক স্ত্রী তাসনিয়া মুনিয়াত পুষ্মী গতকাল দুপুর ১২ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। পুষ্মী অভিযোগ করে বলেন, সানাউল্লাহ তার সঙ্গে প্রতারণা করে সালমাকে বিয়ে করেছেন। এছাড়াও তাকে শারীরিক নির্যাতন ও তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পুষ্মী এখন ধানমন্ডি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলএম শেষ বর্ষের ছাত্রী। সংবাদ সম্মেলনের সময় পুষ্মীর বাবা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা অধ্যাপক এম আখতার আলম এবং মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দিলারা খানম উপস্থিত ছিলেন। পুষ্মী বলেন, ২০১৬ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরী ও আমার বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার জীবন সুখকর থাকলেও একপর্যায়ে সানাউল্লাহ ও তার বাবা-মায়ের লোভাতুর মন-মানসিকতার কারণে তা জটিলতর রূপ ধারণ করে। বিয়ে করলেও সানাউল্লাহ আমার ভরণপোষণ করতেন না। প্রতিমাসে আমি বাবা-মায়ের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা এনে সংসারের খরচ চালাতাম। একমাত্র মেয়ে হওয়ায় আমার সুখের কথা চিন্তা করে বাবা-মা সব চাওয়া পূরণ করতেন। পুষ্মী বলেন, এর মধ্যে সানাউল্লাহ লন্ডন যাওয়ার কথা বলেন। এ জন্য আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমার মা তার চাকরির বিপরীতে রূপালী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সাড়ে ছয় লাখ সানাউল্লাহর ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এবং সাড়ে তিন লাখ টাকা তার বাবা-মাকে দেন। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে সেবার তার লন্ডন যাওয়া বাতিল হয়ে যায়। এরপর সেই ১০ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা করার কথা বলেন তিনি। ব্যবসার উদ্দেশ্যে আমরা শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ কক্সবাজারে ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করি। এর মধ্যে সানাউল্লাহ আবার ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আবার এত টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে তারা সবাই আমাকে ২০১৮ সালের ৫ জুলাই কক্সবাজারের বাসায় অমানসিক নির্যাতন করে। এর আগে ঢাকায় থাকার সময়ও আমার ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল। তখন আমি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। পুষ্মী বলেন, বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য বিবাহিত হওয়া সত্তে¡ও সানাউল্লাহ নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করে পাসপোর্ট তৈরি করেছেন এবং তা হাতে পান ২০১৮ সালের জুনে।এতে প্রমাণিত হয়, সানাউল্লাহর মনে সবসময় প্রতারণার প্রয়াস ছিল। পুষ্মী জানান, ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সানাউল্লাহ নূরী বার-অ্যাট-ল করতে লন্ডন যান। যাওয়ার পর ২ থেকে ১ দিন যোগাযোগ রক্ষা করে একপর্যায়ে হঠাৎ তা বন্ধ করে দেন তার স্বামী। এর মধ্যে লন্ডন থেকে এসে ওই বছরেরই ৩১ ডিসেম্বর ক্লোজআপ তারকা কণ্ঠশিল্পী সালমাকে বিয়ে করেন। উল্লেখ্য, কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বাদী হয়ে তাসনিয়া মুনিয়াতের মা দিলারা খানম মামলা করেন। কক্সবাজারের মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় সানাউল্লাহ কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। পুষ্মী জানান, বিভিন্ন মহল থেকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন পুষ্মী ও তার পরিবার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন