চাঁদপুরে স্ত্রী বেবী আক্তার (৪২) কে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেছেন স্বামী খোরশেদ আলম পাটওয়ারী (৬০)। রোববার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গুলিশা গ্রামের নিজ বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যার পর শহরের মিশন রোড এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রব জানান, রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকায় কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরগামী ডেমু ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয় খোরশেদ আলম পাটোয়ারী (৬০)। তাৎক্ষণিক তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এর আগে রোববার ভোরের দিকে স্ত্রী বেবী বেগম (৪২)কে নিজ বসতঘরে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে খোরশেদ।
নিহত বেবী বেগমের ভাই মফিজুল ইসলাম জানায়, রোববার সকালে তার বোন জামাই খোরশেদ আলম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পর সদর হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যু সংবাদ আসে। দ্রুত তারা সংবাদটি দিতে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা দেয়া। পরে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বেবী বেগমের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়।
নিহত বেবী বেগমের মেজো মেয়ে আয়শা আক্তার জানান, আমার বাবা প্রায়ই আমার মায়ের গায়ে হাত তুলতো। আমার বাবা আগে সিএনজি চালাতো, কিন্তু অনেক দিন ধরে তিনি বেকার। আমরাই খরচ চালাতাম। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মার সাথে কথা কাটাকাটি হতো।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানান, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক কোন কারণ জানা যায়নি। প্রায়ই খোরশেদ আলম তার স্ত্রীকে মারধর করতো। নিহত দম্পতির ৩ মেয়ের সকলেরই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় খোরশেদ ও তার স্ত্রী বেবী একাই বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রব বলেন, কি কারণে এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহই মনে হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন