মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জাপার ৩ দিনের শোক উন্মুক্ত স্থানে কবর চায় কর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। গতকাল রোববার এরশাদের বনানী অফিসের সামনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এইচএম এরশাদ দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনীতিক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট। কাউকে কখনো কটু কথা বলতেন না। তিনি নেতাকর্মীদের সন্তানের মত ভালোবাসতেন, তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। রোববার থেকে আমরা কালো ব্যাজ ধারণ ও তিনদিনের শোক কর্মসুচি পালন করবো। মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে গির্জায় হবে প্রার্থনা সভা। এদিকে দলের নেতাকর্মীরা চায় এরশাদের কবর কোনো উন্মুক্ত স্থানে দেয়া হোক। রংপুরের সাধারণ মানুষ চায় তাদের ছাওয়াল এরশাদকে রংপুরে কবর দেয়া হোক।
জাপা মহাসচিব আরো বলেন, এরশাদের লাশ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় সংসদ প্রাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর নামাজে জানাজা শেষে কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে এরশাদের লাশ রাখা হবে। সেখানে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ও নেতাকর্মীরা তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
এদিকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বনানী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পার্টির নেতাকর্মীরা। তারা চাইছেন, এরশাদের দাফন হোক উন্মুক্ত কোনো কবরস্থানে। যেন সবাই নির্বিঘেœ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এরই প্রেক্ষিতে নেতাকর্মীদের শান্ত করতে এরশাদের দাফন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। তিনি বলেন, এরশাদের দাফন কোথায় হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। মঙ্গলবার দলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে এরশাদের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক বৈঠকে তার দাফন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়। সেখানে এনিয়ে মতবিরোধও হয়।এ সময় দাফনের বিষয়ে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এরশাদ স্যার যদি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন না কেন এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র দাবি, রংপুরের পল্লীনিবাসে তার সমাধি করা হোক।
সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতা পাবলিক প্লেসে (আজিমপুর অথবা অন্য কোথাও) জায়গা কিনে সেখানে এরশাদের কবর করার পক্ষে মত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে তার কবরের কথা বলেছেন। বৈঠকে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুরের আদাবরে জায়গা কিনে কবর দেয়ার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ সাভারে নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জমি এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দেয়ার প্রস্তাব দেন। গতকাল এরশাদের মৃত্যুর পর রংপুরের নেতাকর্মীরা এরশাদকে রংপুরে কবর দেয়ার দাবি তুলেছেন। তবে স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জি এম কাদের জানান বনানী সামরিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন