শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘সীমাহীন ক্ষমতা পেলে নিয়ন্ত্রণ হারাবে মানুষ’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

 ‘বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষ করে রোবটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবকল্যাণ নিশ্চিত হতে হলে এর সঙ্গে নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য দিক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে মাত্রাজ্ঞান থাকাটা জরুরি’। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি- ইডিইউ’তে প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাত এবং এর নৈতিক দিক নিয়ে ‘এথিকস অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচকগণ এ উপলব্ধির কথা ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সেমিনার হলে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

এতে মূল আলোচক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. ফিলোমেনা লিয়াং। তিনি বলেছেন, মানুষ বর্তমানে অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে প্রযুক্তির ওপর। বিজ্ঞানীরা বলছেন আগামী পৃথিবী হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক। এ ভবিষ্যদ্বাণী যেমন আশার সঞ্চার করে একই সাথে তা মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। কেননা সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে তা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক দিক সম্পর্কে প্রফেসর ড. ফিলোমেনা লিয়াং বলেন, কম্পিউটার বা রোবট যদি মানুষের মতো চিন্তা করে এবং নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করে, তাহলে তা নৈতিক দিক থেকে আশঙ্কাজনক হতে পারে। এ ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বেকারত্বের হার বেড়ে গিয়ে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। তাছাড়া এ ধরণের বুদ্ধিমত্তাকে সামাজিক ক্ষতিসাধনে ব্যবহারের আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, রোবট মানুষের মতো চিন্তা-আচরণ করলেও যেহেতু তারা মানুষ নয়, তাই সামাজিক নিয়মকানুন ও আইনগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এর ফলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনাও দুরূহ হয়ে পড়বে। তাছাড়া মানুষের গোপনীয় ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এসব নেতিবাচক দিক ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক সম্ভাবনাও কম নয়। তাই মানবিক দিক থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে ও ব্যবহারে মাত্রাজ্ঞান রাখা জরুরি।

সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা দেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মানুষের মতো আচরণ ও চিন্তা করতে পারে যে প্রযুক্তি, তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। রোবট, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সা, সিরি প্রভৃতি এ ধরণের প্রযুক্তি। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আলোচনা করেন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির।
মূল আলোচক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ফিলোমেনা লিয়াংকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আপ টু ডেট করে তোলা ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের নৈতিক দিক উন্নত করতেও সচেষ্ট আমরা। এ লক্ষ্যে নিয়মিত ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষজ্ঞরাও এখানে নিয়মিত ক্লাস-সেমিনার পরিচালনা করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Akter Uzzaman ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
মানুষ যেভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে এমনটা হতে আর দেরি নেই।
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
এটা নিয়ে গভীর ভাবে ভাবা দরকার
Total Reply(0)
মামুন ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
তখন যেটা হবে মানুষ উলটা বোবটের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে
Total Reply(0)
তানিম আশরাফ ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
মানুষের নোবট প্রযুক্তির দিকে বেশি ঝুকে পড়া ভুল হবে। একদিন সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ১৬ জুলাই, ২০১৯, ৯:২৪ এএম says : 0
আল্লাহই ভালো জানেন যে, আমাদের কপালে কি আছে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন