জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজা রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেনে রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। জানাজায় জাতীয় পার্টির বিভিন্ন জেলা, উপজেলার নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ দলমত নির্বিশেষে লাখো লাখো জনতা অংশ নেন। এর আগে তাকে শেষবারের মত দেখতে এবং শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই কালেক্টরেট মাঠে জড়ো হতে থাকেন নারী পুরুষসহ লক্ষ লক্ষ জনতা। সকাল থেকেই উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন থেকে লোকজন আসতে থাকে। দুপুর ১২টা নাগাদ কানায় কানায় ভরে যায় কালেক্টরেট মাঠ। জনসমুদ্রে পরিণত হয় কালেক্টরেট মাঠ এবং তার আশপাশের এলাকা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তার লাশ নিয়ে আসা হয় রংপুর সেনানিবাসে। সেখান থেকে তাকে লাশবাহী গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয় কালেক্টরেট মাঠে। আকাশে হেলিকপ্টার দেখেই লোকজন হুমড়ি খেয়ে দৌড়াতে থাকে কালেক্টরেট মাঠের দিকে। দুপুর সোয়া ১২টায় তার লাশ কালেক্টরেট মাঠে নিয়ে আসা হলে শোকাহত জনতা পুলিশী বেষ্টনী ভেঙে লাশবাহী গাড়ির কাছে ছুটতে থাকেন।
উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে শুরু হয় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো। নিজ দলের নেতাকর্মী ছাড়াও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় তাকে। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা এরশাদের লাশ রংপুরে দাফনের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন।
তাকে সমাহিত করতে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই পল্লীনিবাসে তার কবর প্রস্তুত করে রাখা হয়। দলীয় নেতাকর্মী ও এরশাদ প্রিয় রংপুরবাসীর দাবী তাকে রংপুরেই দাফন করা হোক। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে দাফনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দলীয় কর্মী সমর্থকরা তার লাশাবাহী গাড়িটি আটকে রেখেছে। তবে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এরশাদের ছোট জিএম কাদের জানিয়েছেন লাশ পল্লীনিবাসে নিয়ে যাওয়া হবে। দাফনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রিয় এরশাদকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নগরীর দোকান-পাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন