শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বুড়িগঙ্গা তীরে ৪৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ৭:০৩ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিন তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ । আজ মঙ্গলবার(১৬জুলাই) সকাল ১০টায় বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর(পোস্তগোলা ব্রীজ) নিচে হাসনাবাদ এলাকা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযা শুরু হয়ে দোলেশ্বর খেয়াঘাট পর্যন্ত একটানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এসময় নদীর দক্ষিন তীরে অবৈধভাবে গড়েউঠা অপসোনিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের লবন আনলোড করার স্থাপনা ও একটি সাত তলা ভবনসহ ৪৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানের ৪র্থ পর্বের ৩য় পর্যায়ের ২য়দিনে ৪৪ কার্যদিবসে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উচ্ছেদ কাজে বাঁধা দেয়ায় দু’টি প্রতিষ্ঠানের ৫ কর্মকর্তাসহ ৭জনকে ২লাখ ৫৪হাজার টাকা অর্থদন্ড ও উচ্ছেদকৃত প্রায় ৭৮ লাখ টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদকৃত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাততলা ভবন ১টি, একতলা ভবন ৫টি, আধাপাকা ১৭টি ও টিনের ঘর ২১টি। বিআইডবিউটিএর দুইটি শক্তিশালী এক্সেবেটর দিয়ে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অপসোনিন কোম্পানির লবন আনলোডের স্থাপনা , ইট ভাটা, ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ ৪৪টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় সরকারের দখল হওয়া ৩একর জমি অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় বিআইডবিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট হাবিবুর রহমান হাকিম বলেন, নদীর তীর দখলকারী কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। উচ্ছেদ কাজে বাঁধা দেয়ায় সাতজনকে ২লাখ ৫৪হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। সেই সাথে উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে ৭৮লক্ষ টাকা রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিআইডবিউটির যুগ্ম-পরিচালক (ঢাকা নদী বন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করতে কবরস্থানের নামে অভিনব ভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সাতলা ভবনের পাশে দ্বিতল ভবনটি ভাঙ্গার পর দেখা গেল মুর্দার গোসল ও নামাজের জায়গায় সেখানে মালামালের গোডাউন রয়েছে। তাই নদী দখলকারী যতবড় শক্তিশালি হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে নদীর তীরভূমি দখল দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে বরাবরের মত বিআইডব্লিউটিএর চলমান এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, ২৯ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে প্রায় ৬ হাজার অবৈধ স্থাপনাসহ দেড়শ একর জমি উদ্ধার ও সাড়ে ৫কেটি টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করেছে বিআইডবিউটিএ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন