কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে উঠে আলোচনার ঝড়। ম্যাচ জিতলেও মেসির লাল কার্ড মেনে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনাও। দলীয় অধিনায়কের লাল কার্ড প্রত্যাহার চেয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের কাছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) অনুরোধ করেছে বলে দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কনমেবলের কাছে লিখিত এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে এএফএ, যেখানে মেসির সইও রয়েছে।
ঐ ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে চিলির গারি মেদেলকে পেছন থেকে চ্যালেঞ্জ করেন মেসি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো মেদেল মেসিকে গুতোতে থাকেন। রেফারি এসে দুজনকেই সরাসরি লালকার্ড দেখান। এটা ছিল ২০০৫ সালের পর ক্লাব বা জাতীয় দলের হয়ে মেসির প্রথম লাল কার্ড।
এএফএ মনে করে, এখানে বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ডের লাল কার্ড পাওয়াটা প্রাপ্য নয় সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড প্রাপ্য ছিল। এই ঘটনার পর ম্যাচ শেষে পদক নিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাননি মেসি। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এএফএ কনমেবলকে অনুরোধ করেছে যদি লাল কার্ড বহাল থাকে তবে যেন মেসিকে ন্যূনতম শাস্তি অর্থাৎ এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
লাল কার্ডে পার পেলেও কোপা আমেরিকা চলাকালে মেসির করা মন্তব্যের জের ধরে তাকে লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আয়োজক ও রেফারিদের বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন মেসি। ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতেই এই দুর্নীতি করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-০ গোলে হারা ম্যাচে রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে কনমেবলে অভিযোগ জানায় এএফএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন