শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

‘ভারতে রফতানি বাড়বে’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কোলকাতায় অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপি সিডবিøউবিটিএ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রেড সামিট-২০১৯-এর মাধ্যমে ভারতের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি আরও বাড়বে বলে এফবিসিসিআই আশা করছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম গত সোমবার দু’দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান এবং ভারতের উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ি নেতারা সম্মেলনে অংশ নেন। কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড এসোসিয়েশনস সম্মেলনটির আয়োজন করে।

সম্মেলন উদ্বোধন শেষে উপস্থাপিত প্রবন্ধে এফবিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন যে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিডবিøউবিটিএ’র যেহেতু ১০ লক্ষেরও বেশি ব্যবসায়ী সদস্য রয়েছেন, তাই এ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং সার্ক, বিবিআাইএন এবং বিমসটেক সদস্যভূক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে এফবিসিসিআই সভাপতি আশা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, বাণিজ্য বহুমূখীকরণে তিনি বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্য, সিরামিক, পাটপণ্য, তথ্য প্রযুক্তি, মৎস্য এবং হোম এ্যাপ্লায়েন্সের উল্লেখ করেন।

সিডবিøউবিটিএ সম্মেলন উদ্বোধনের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ি নেতা ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর সাথেও তাঁর অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। ভারতকে বাংলাদেশের অন্যতম কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার এবং বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ ফজলে ফাহিম জানান, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, রেল যোগাযোগ, সড়ক ও পরিবহণ, বস্ত্র শিল্প, ব্যাংক এবং টেলিযোগাযোগ খাতে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন যে, বাংলাদেশ যেহেতু উন্নততর অর্থনৈতিক কাঠামোতে উন্নীত হচ্ছে তাই সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এরমধ্যে হালকা, মাঝারি ও ভারি শিল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নীতকরণের এ লগ্নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রাজস্ব কাঠামো ও নীতি পরিকল্পনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময় এবং তথ্য প্রযুক্তি, ন্যানো টেকনোলজি, রোবোটিক্স, সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও জানান, বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা সহজীকরণে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে এফবিসিসিআই নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ বছরের শেষে এবং ২০২০ সাল নাগাদ এক্ষেত্রে লক্ষণীয় সাফল্য চোখে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদেরকে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আহŸান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন