বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নকলমুক্ত পরিবেশের কারণে ভালো ফল হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

শিক্ষার্থীদের ভালো প্রস্তুতি ও নকলমুক্ত পরিবেশের কারণে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফল হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র সহজ বা কঠিন করায় পাশের হারে প্রভাব পড়েনি। যারা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ভালো করেছে, আর যাদের প্রস্তুতি দুর্বল ছিল তারা ভালো ফল পায়নি। তবে যে সকল বোর্ড ভালো করছে তারা আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে তাদের ভালো ফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। ভালো ফলে জন্য তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানান। গতকাল (বুধবার) দুপুরে সচিবালয়ে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলেক্ষ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল সর্বোতভাবে বন্ধ হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে কোন বিভ্রান্তি, প্রতারণা এবং গুজবের সৃষ্টি হয়নি। গত বছরের তুলনায় এ বছরের ফলের সূচকে বেশকিছু ইতিবাচক লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার গত বছরের চেয়ে বেশি। জেলা, উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীরা ভাল করেছে। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এ তথ্যগুলো খুবই ইতিবাচক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আমরা কাজ শুরু করেছি। এটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে অথবা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার আদলে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা চান তাদের নিজেদের মতো করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ভর্তি করাতে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত হতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও চরম পর্যায়ে। একজন শিক্ষার্থী প্রায় ৪-৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ জন্য অনেকে রাস্তায় বা মসজিদেও গিয়ে রাতে ঘুমাতে হয়। কিন্তু মেয়েদের কোথাও গিয়ে থাকার স্থান থাকে না। এসব সহজিকরণে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন করছি। আগামী বছর থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হতে পারে।
কারিগরি শিক্ষাকে আরও বেগবান করা হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, বর্তমানে ১৭ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ালেখা করলেও সরকার এটিকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুল ও মাদরাসায় দুটি করে ট্রেড কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মানব কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি মূল্যবোধ তৈরি না হয় তা হলে শুধু বেশি নম্বর পেয়ে কি হবে, মানবিক গুণে গুণান্বিত হও; চারপাশে তাকাও- মানুষকে ভালোবাসো। নীতি নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠো, স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হও, নিঃস্বার্থ চিত্তে মানব কল্যাণে নিবেদিত হও। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সন্তানকে অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিবেন না, স্বার্থপর হিসেবে গড়ে তুলবেন না; দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার শিক্ষা যদি আপনার সন্তান না পায়, মনে রাখবেন এ শিক্ষা অর্থবহ হবে না, শিক্ষার আসল উদ্যেশ্যই বৃথা যাবে।

ফেল করা শিক্ষার্থীদের শ্বান্ত¦না দিয়ে তিনি বলেন, অকৃতকার্য হওয়া মানেই জীবন শেষ এটা ভাবার কারণ নেই। যারা কৃতকার্য হতে পরেনি তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আগামীতে তারা সফল হবে। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদসহ সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন