বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

পানিতে পরে আরো এক শিশুর মৃত্যু : পানিবন্দী ৬ লাখ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ১০:৩৫ এএম

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও তীব্র ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রৌমারীর বন্দরের এলাকায় এলজিইডি’র সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গোটা উপজেলা এখন পানিবন্দী। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও বেসরকারি পর্যায়ের সংগঠনগুলো এগিয়ে না আসায় বানভাসিরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ীতে আটকে পরা মানুষগুলো জ¦ালানী সংকটের কারণে রান্না-বান্না করতে পারছে না। উচুঁ স্থানে গবাদিপশু রাখলেও গো-খাদ্যের অভাবে গৃহস্তরা অসহায় হয়ে পরেছে। এদিকে উলিপুরের গুণাইগাছ ইউনিয়নের কাজির চক এলাকার সুমন মিয়ার দেড় বছরের শিশু ফুয়াদ পানিতে পরে মারা গেছে। এনিয়ে গত ৩দিনে জেলায় পানিতে ডুবে মারা গেল ১১ জন।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার ফলে ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪শ পরিবারের ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ী। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। বন্যায় ৪১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ২টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর। জেলার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি ২ সে.মিটার কমে ১৩০ সে.মি এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ২ সে.মি কমে বিপদ সীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ধরলা নদীর পানি ৭সে.মি কমে বিপদসীমার ১১৬ সে.মিটার উপর দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫ মে.টন জিআর চাল, ৯ লক্ষ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬ হাজার ৫২৫টি পরিবারে ১৫ কেজি করে ৬ হাজার ৪২৮ মে.টন ভিজিএফ’র বরাদ্দ উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, বন্যার্ত সকল পরিবারে সহায়তা দেয়া হবে। কেউ যাতে বাদ না যায় তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন