নেত্রকোনা জেলা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে শিশুর গলা কাটা মস্তক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ঘটনায় শিশু হন্তারক অজ্ঞাত যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত যুবক বারহাট্টা রোডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মেথর পট্টিতে মদ পান করার পর মাতলামি করার সময় তার ব্যাগ থেকে একটি শিশুর গলাকাটা মস্তক (মুন্ডু) মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা তা দেখে ফেলে। মূহুর্তে খবরটি আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শত শত জনতা ওই যুবককে ধাওয়া করে নিউটাউন পঁচা পুকুর (অনন্ত পুকুর) পাড়ে তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ পুকুর পাড় থেকে শিশুর গলা কাটা মস্তক এবং অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ খবর সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক মহলে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। উৎসুক জনতা শিশুর গলাকাটা মস্তক এবং শিশু হত্যাকারীর লাশ দেখার জন্য পুকুর পাড়ে ভীড় জমায়। এ সময় উৎসুক জনতার ভীড় সামাল দিতে পুলিশকে গলদগর্ম হতে হয়।
ফেইস বুকে গলা কাটা শিশু ছবি মূহুর্তে ভাইরাল হলে খবর পেয়ে কাটলী এলাকার রিক্সা চালক রইস উদ্দিন থানায় গিয়ে জানায়, গলা কাটা শিশুটি তার পুত্র সজিবের। তার বয়স ৮ বছর। আজ বেলা ১১ টার দিকে সজিব তার কাছে আইসক্রীম খাবার জন্য ৫টি টাকা চায়। কিন্তু হাতে টাকা না থাকায় তিনি সে সময় সজিবকে আইসক্রীম খাওয়ার টাকা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,গলা কাটা শিশু এবং গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুটির নাম সজিব (৮), আর যুবকের নাম রবিন (২২)। সে উত্তর কাটলীর রিক্সাচালক আলকাছ মিয়ার পুত্র। এলাকাবাসী জানায়, সে মাদকাসক্ত। শিশুটির বাকী দেহ উত্তর কাটলীর একটি নির্মানাধীন তিন তলার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাসাটির মালিক বারহাট্টা উপজেলার চিরাম গ্রামের কায়কোবাদের। কি কারণে শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন