শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘দাঙ্গা সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে ইসকন’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৫:৪৫ পিএম

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ ‘ইসকন’ চট্টগ্রামের বেশকিছু স্কুলে ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচির অধীনে খাবার বিতরণ করেছে। তারা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে, মাতাজি প্রসাদ কি জয়" এই ধ্বনিগুলো দেয়াচ্ছেন। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি এবং সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের উদ্যোগে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান, চোখে মুখে অস্বস্তি নিয়ে এ ধ্বনি দিচ্ছে তারা। এরকম ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটা নির্দোষ খাবার নয়, ‘প্রসাদ’। অর্থাৎ হিন্দু দেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত খাবার। যা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কাউকে জোর করে খাওয়ানো অনৈতিক, অন্যায়ও বটে। সাধারণত দেব-দেবীদের জন্য উৎসর্গকৃত প্রসাদসহ যেকোন খাবার ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষেধ। আর কোমলমতি মুসলমান শিশুদের এরকম প্রসাদ খাওয়ানো ও বারবার হিন্দু ধর্মীয় শ্লোগান দেওয়ানো আমরা কখনও শুভ দৃষ্টিতে দেখছিনা।
এর মাধ্যমে তাদের ধর্মের প্রতি বাধ্য করা হচ্ছে, যা কখনও বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মুসলমান মেনে নিতে পারেনা। খাবারের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের, যাদের মুসলমান, তাদের দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলানো, তাদের ধর্ম শেখানো এক জঘন্য পর্যায়ের অপরাধ, যা কোনও অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক কখনোও মেনে নিতে পারেননা। বাংলাদেশে কোন প্রকার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া বা অনুমতি নিলেও সাধারণ মুসলমান শিশুদের অন্য ধর্মীয় স্লোগান শেখানো ধর্মীয় উসকানি যা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংস করার এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বলে আমরা ধারণা করছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য মডেল। এখানে সবাই স্ব স্ব ধর্মীয় অনুশাসনে পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোমলমতি, অবোধ শিশুদের কৌশল করে ভিন্ন ধর্মের সবক দেয়া অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ ধরণের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের পর থেকে এক ধরণের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ধরণের উসকানিকে কাজে লাগিয়ে যেকোন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী দেশের মধ্যে উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলাসহ বড় ধরণের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিরও প্রয়াস চালাতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ মাছুমুর রশীদ কাদেরী, নগর উত্তর সভাপতি মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌহিদুল হক, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ ওসমান গণি কাদেরী, খালেদ বীন জাহাঙ্গীর, মুহাম্মদ আজাদ হোসেন, মুহাম্মদ সাহেদ হোসেন, মুরশেদুল আলম, শাহাদাত হোসাইন, কাজী শাহেদ, সাজ্জাদ হোসাইন, মনির উদ্দীন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
kjc ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৬:১৩ পিএম says : 0
আমাদের দেশের অভিবাকরা তাহজুদ নামাজ পড়েন তো, তাহজুদ নামাজ পড়লে দেশের মানুষের রিজেক বৃদ্ধি পায় এজন্যই ছাত্র/ছাত্রীদের রিজেকে এত খাওয়া আসছে।
Total Reply(0)
আজিজ ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:৩৭ পিএম says : 0
ধন্যবাদ ছাত্রসেনাকে,
Total Reply(0)
আজিজ ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:৩৮ পিএম says : 0
ধন্যবাদ ছাত্রসেনাকে,
Total Reply(0)
আজিজ ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:৩৯ পিএম says : 0
ধন্যবাদ বাংলাদেশ ইসলা৷ ছাত্রসেনাকে
Total Reply(0)
Abdullah Al Mansur. ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪৬ পিএম says : 0
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
Total Reply(0)
Abdullah Al Mansur. ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪৭ পিএম says : 0
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
Total Reply(0)
Jjj ১৮ জুলাই, ২০১৯, ১১:২৪ পিএম says : 0
শয়তানের বাচ্চাদের যেখানেই দেখবে সেখানেই মাটির সাথে....।
Total Reply(0)
tareque ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
এই দেশকে তারা ভারত করতে চায়।
Total Reply(0)
জাকির হোসাইন ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৯:০৬ এএম says : 0
আমি ধন্যবাদ জানাই যারা এই বিক্ষোবের ডাক দিয়েছেন মিডিযাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এই হিন্দু জঙ্গী বাহিনীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক না হয় বাংলাদেশে দাঙ্গা সৃষ্টি হতে পারে
Total Reply(0)
জাকির হোসাইন ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৯:০৭ এএম says : 0
আমি ধন্যবাদ জানাই যারা এই বিক্ষোবের ডাক দিয়েছেন মিডিযাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এই হিন্দু জঙ্গী বাহিনীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক না হয় বাংলাদেশে দাঙ্গা সৃষ্টি হতে পারে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন