শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৬:১৬ পিএম

বয়স হয়ে গেছে বত্রিশ। বাস্তবতা মেনে এখনই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠা মুশফিকুর রহিম। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপে খেলতে চান তিনি। সেক্ষেত্রে তা হবে মুশফিকের পঞ্চম বিশ্বকাপ। আর এজন্য নিজের পরিকল্পনাও সাজাতে শুরু করেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুনিয়ায় ধাপে ধাপে অনেকটাই এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিকুর। তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি তিনিও দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ। ২০১৫ থেকে তার ব্যাটিং গড় ৪৭.২১। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সদ্য শেষ হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পরফর্মার ‘মুশি’। সাকিব আল হাসানের পর টাইগার দলে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ছিলেন একমাত্র তিনিই। আট ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে ৫২.৪২ গড়ে করেছেন ৩৬৭ রান।
আরো একটা বিশ্বকাপ খেলতে চান বত্রিশ বছরের মুশফিক। ক্রিকেটের অন্যতম বড় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি। আর তার প্রস্তুতি তিনি নিতে চান একটু একটু করে, ‘হ্যাঁ, ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে চাই বৈকি। তবে এবার সময় এসেছে প্রতি সিরিজের আগে খেলব, না খেলব না, তা যাচাই করার। এইভাবে ভাবলে মনে হয় ফর্ম ধরে রাখতে পারব। একসঙ্গে বেশিদূরের কথা ভাবলে একটানা ফর্ম ধরে রাখা কঠিন।’
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়র্টরফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবার অষ্টম স্থানে শেষ করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে অন্য প্রতিপক্ষেরও সমীহ আদায় করে নিয়েছে তারা। রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড আর পয়েন্টতালিকার শীর্ষে থাকা ভারতকেও রীতিমত বেগ পেতে হয়েছিল তাদের হারাতে। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপের বিপক্ষে গড়েছে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। যদিও ম্যাচটি জেতা হয়নি। সেই ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি ইনিংস এসেছিল মুশফিকের ব্যাট থেকে।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে প্রধান তারকা ছিলেন সাকিব। মোট ৬০৬ রান আর ১১ উইকেট আসে তার ঝুলিতে। তবে আট ইনিংসে ৩৬৭ রান করে খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুরও। বিশ্বকাপে নিজের অবদান নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট তিনি, ‘এই বিশ্বকাপে চার নম্বর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মনে হয় না রস টেইলর ছাড়া আমার থেকে ভাল আর কেউ ব্যাট করেছে। সবথেকে বড় কথা, আমার ব্যাটিং দলকে জিততে সাহায্য করেছে। তাই আমি খুশি। এরকম খেললে আরও ভাল করার জন্য, আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাই।’
বয়সের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের লিটল মাস্টার বলেন, ‘বয়স বাড়ছে, তাই দলকে আরও বেশি বেশি করে জেতাতে চাই। সত্যি কথা বলতে কি, আমার দিন ফুরিয়ে এসেছে, তাই হাতে সময় নেই বেশি। দশ-পনেরো বছর ধরে খেলছি। এবার আরও উন্নতির পালা। পঞ্চাশ-ষাট নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে চাই। আর সেটা যে পারব, তা আমি এই বিশ্বকাপে প্রতিকূল পরিবেশে কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করে বুঝেছি।’
মুশফিকুর আর তামিমের মধ্যে কে বড় ক্রিকেটার তা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটমহলে জল্পনার শেষ নেই। তবে মুশফিকুর মনে করেন যে এই সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আখেরে লাভ দলেরই, ‘আমরা অবশ্যই চাই একে অন্যের থেকে বেশি রান করতে। তবে ধরুন তামিম কিছু রান করল; তারপর আমি আরও বেশি রান করলাম; এতে লাভ তো দলেরই হচ্ছে, তাই না? আর সেটা নিয়মিতভাবে পারলে তো আমি একা হাতে দলকে ম্যাচ জেতাতে পারব। বিশ্বকাপের ফর্ম সাকিব ধরে রাখতে পারলে ওর যেমন ভাল হবে, তেমন দলেরও। একই কথা সৌম্য আর লিটনের মত নতুনদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন