মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সামাজিক অপরাধরোধে গণমাধ্যমই সবচেয়ে বড় শক্তি

জুবায়ের আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:১৭ এএম

দেশজুড়ে ধর্ষণ, খুন, গুম সহ সামাজিক অপরাধ বাড়ছেই। এসব অপরাধ বাড়ার কারণ হিসেবে মানুষ ধর্মের আশ্রয়ে থেকেও ধর্মীয় বিধান না মানাসহ অপরাধের সঠিক বিচার না হওয়াকেই চিহিৃত করেন। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় পাতায় শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে, সেই সাথে ব্যবসায়িক বিরোধে খুন, জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে খুন, পরকীয়া ও প্রেমঘটিত বিষয়ে খুন, গুম সহ নানা প্রকার অপরাধ বাড়ছেই দিন দিন। মানুষ সামাজিক জীব, সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষ শিখেছে আদিকাল থেকে, ধর্মীয় রীতিতেও মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকার তাগিদ দেয়া হয়েছে। একটি দেশে বহু জেলা উপজেলা থাকলেও প্রত্যেকটি জেলা উপজেলাতেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, ফলে সামাজিক অপরাধরোধে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের উপরও দায়িত্ব থাকে অনেক। সমাজ, দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে গণমাধ্যমের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। স্বাধীন ও শক্তিশালী গণমাধ্যমই পারে একটি দেশের বহু অপরাধ রোধ করতে।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছাড়াও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার ফলে অনলাইন গণমাধমের ভূমিকাও এখন অপরীসিম। সারা দেশের আনাচে কানাচের যত খবর সবই এখন দ্রæততম সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে, অনলাইন গণমাধ্যমের অপব্যবহার হলেও ইতিবাচক ভাবে ভাবতে গেলে উপকারিতাও ব্যাপক, যা সমাজের ঐক্যবদ্ধতার ভীত্তিকে আরো মজবুত করতে পারে, সামাজিক অপরাধরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নিঃসন্দেহে।

ধর্ষণ, খুন, গুম সহ নানামুখী সামাজিক অপরাধ এখন গণমাধ্যমের কল্যাণে দ্রæতই মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। গণমাধ্যমগুলো সারা দেশের প্রতিটি এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধি নিয়োগের কারণে যেকোন জায়গাতে অপরাধজনিত খবরগুলোও যেমন দ্রæত প্রচার হচ্ছে তেমনি উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ যেকোন ভালো কাজও ছড়াচ্ছে দ্রæত। সেই সাথে অপরাধীদের ছবি প্রকাশ হওয়ার ফলে অপরাধীদের সনাক্ত এবং ধরাও সহজ হচ্ছে। মূল কথা গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রত্যেকটি ভালোমন্দ কাজই সারা দেশের মানুষ জানতে পারছে দ্রæততম সময়ে, যা ইতিবাচক।

সামাজিক অপরাধরোধে গণমাধ্যম সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছে বলেই সারা দেশের মানুষ অপরাধীদের দেখছে, তাদের অপরাধ প্রকাশ হচ্ছে, এর মাধ্যমে অনেক মানুষই এ ধরনের অপরাধে জড়িত হয়ে জীবনটাকে ধ্বংস করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, যা ইতিবাচক। রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম এবং সমাজের দায়িত্ববান নাগরিক সহ সারা দেশের প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও যেকোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে সামাজিক অপরাধের ভয়াবহতা, পরিণতি ও অপরাধরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করলে ধীরে ধীরে সমাজ ও দেশ থেকে কমে যাবে ধর্ষণ, খুন, গুম, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ নানা প্রকার অপরাধ, প্রতিষ্ঠিত হবে কাক্সিক্ষত সোনার বাংলাদেশ।
লেখক: শিক্ষার্থী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন