শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি...

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৭:২৬ পিএম

সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে প্রিয়া সাহা নামে এক নারী বললেন, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি’। ওই নারীর অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে ও দেশে থাকতে পারছে না। গত ১৬ জুলাই নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে ওই নারী অভিযোগ করেন, তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আইনি সুরক্ষা পাননি। নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ট্রাম্পের সহযোগিতা কামনা করেছেন ওই নারী।

সম্প্রতি চীন, তুরস্ক, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমারসহ ১৬টি দেশে সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার হওয়া মানুষদের কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল হোয়াইট হাউসে। গত ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন তারা। ট্রাম্প যখন একে একে সবার বক্তব্য শুনছিলেন তখন এক নারী নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বলেন, "স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ‘নাই’ হয়ে গেছে। দয়া করে বাংলাদেশি জনগণকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।"

ট্রাম্প তখন বলেন, ‘বাংলাদেশ?’ জবাবে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে ওই বাংলাদেশি নারী আরও বলেন, ‘এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ থাকে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। সেখানে থাকতে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনও বিচার হয়নি।’


হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে ওই নারীর পরিচয় লেখা হয়েছে মিসেস সাহা নামে। তার অভিযোগ, মুসলিম উগ্রপন্থীরা এ কাজ করছে এবং সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে ওই মহিলার পরিচয় জানা গেছে।  প্রিয়া সাহা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মলয় সাহা। প্রিয়া সাহা ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে । জানা যায়, বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেছেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ash ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৭:৫১ পিএম says : 0
HMM O KI BANGLADESHI?? ATO KALO ?? ATO KALI KI KONO BANGLADESHI HOY?? HMM???
Total Reply(0)
Shahinur islam ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪৫ পিএম says : 0
Uottor o poscim jila goli k jaha simanar sate.bises nojor darite raka dorkar.hindo boddo kristan okko porisoder lokera boro boro sorojontro kari bahir hote pare.ora edorer moton.bises kore hindo boddora.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন