শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানমারে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যেতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশের আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যেতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মিয়ানমারে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে দেশগুলো একটি উদ্বেগের চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১০ লাখেরও বেশি। মিয়ানমারে ফিরলে আবারও নিপীড়নের শিকার হতে পারেন এমন শঙ্কায় রয়েছেন এসব রোহিঙ্গা। ১২টি দেশের স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যেন সাংবিধানিকভাবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া নিপীড়নকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করে সবাইকে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোরও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা রাখাইনে ভয়াবহ সহিংসতা ও রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। রাখাইনেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে অনেকে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমন সম্মেলন আয়োজন করলো যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন, আজারবাইজান, সাইপ্রাস, জর্ডান, জর্জিয়া ও মার্শাল দ্বীপ। বিবৃতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপার গুরুত্বারোপ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম স¤প্রদায়সহ মিয়ানমারের অনেক সংখ্যালঘুরা তাদের বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বলা হয়, ‘আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন রাখাইনে রোহিঙ্গা নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা হয়। মিয়ানমারে ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যায়কারীদের বিচারের আহ্বান জানায় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা বলেন, আমরা নাগরিকত্ব, ভোটাধিকারসহ সমঅধিকার বাস্তবায়নের গুরুত্বারোপ করছি। দুইদিন আগেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল রাখাইনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয় ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংসহ আরও তিনজন সেনা ও তাদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সিএনএন, রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন