শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফের সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী

রাজ্যপালের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

একের পর এক পট বদল। বৃহস্পতিবারের পর গতকালও জারি ছিল কর্নাটকের বিধানসভার নাটক। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোট নিতে হবে। তবে ৩টা পর্যন্ত আস্থা ভোট নিয়ে আলোচনাই চালিয়ে গেছেন স্পিকার। মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার চিঠি দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে নির্দেশ দেন রাজ্যপাল বালা। তবে রাজ্যপালের নির্দেশের বিরুদ্ধে এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী।

রাজ্যপালের নির্দেশ মানা নিয়ে শুক্রবার স্পিকার কে আর রমেশ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাই উনিই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ একইসঙ্গে স্পিকার আরও জানিয়েছেন, ‘আলোচনা ছাড়া আস্থা ভোটে যাওয়ার কোনও নিয়ম নেই।’

রাজ্যের জোট সরকারকে সুবিধা দিতে স্পিকার ইচ্ছে করে আস্থা ভোট পিছাচ্ছেন, এ অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। রাজ্যপাল বাজুভাই বালা প্রথমে স্পিকার ও পরে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নির্দেশ দেন, আর কোনো বিষয় আলোচনা না করে শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে যেন আস্থা ভোট করানো হয়।

রাজ্যপালের চিঠির জবাব না দিলেও কুমারস্বামী অবশ্য বিজেপি শিবিরকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনাদের এত তাড়া কীসের?’ সোমবার বা মঙ্গলবার আস্থা ভোটের পক্ষে মত তার। আস্থা ভোট নিয়ে জোট সরকারের অযথা টালবাহানার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের রাত কর্নাটকের বিধানসৌধেই কাটান বিজেপি বিধায়করা। শুক্রবার সকালে উঠে মর্নিং ওয়াকও করেন তারা।

২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএস জোটের হাতে ছিল ১১৮টি আসন। আর দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে বিজেপির ঝুলিতে ১০৭। কিন্তু সপ্তাহদু’য়েক আগে আচমকাই কংগ্রেসের ১৩ জন এবং জেডিএস-এর তিন জন বিধায়ক স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান। স্পিকার তা গ্রহণ না করলে, ১৫ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক চলে যান সুপ্রিম কোর্টে। ১৫ জন বিধায়কের পদত্যাগ গৃহীত হলে কুমারস্বামী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর সম্ভাবনা। বুধবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। তবে বিক্ষুব্ধদের বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে বাধ্য করা যাবে না। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন