শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কচুতেই সফলতা

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

কচুর সুখ্যাতির জন্যই মীরসরাই উপজেলার দুই ইউনিয়নে ‘কচুয়া’ নামে দুটি ভিন্ন গ্রাম রয়েছে। ১১ নং মঘাদিয়া ও ১৪ নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের এই দুটি গ্রামে এবারো লতিরাজ কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর ফলনে সাফল্যে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে।

এই কচু আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শত শত কৃষক। কচুয়া গ্রামের কয়েক শত পরিবার শ্রাবণ ভাদ্র মাসের বর্ষার দিনে ব্যস্ত থাকেন শুধু বিশালাকার কচু ক্ষেত নিয়ে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কচু চাষির ক্ষেত থেকে হাজার হাজার কচু তুলে নিচ্ছেন কৃষকেরা। কোথাও কোমর পানি, কোথাও হাটুর উপরের পানিতে দাঁড়িয়ে জমি থেকে বড় বড় কচুগুলো কেটে পাতা ছেটে বিশালাকার স্তুপাকারে রাখছেন। ৫০-১০০টির আঁটি করে সিএনজি বা ভ্যানে করে মহাসড়কের হাটে। সেখান থেকে পাইকারদের ট্রাকে পাঠানো হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে। কচুয়া গ্রামের পাশাপাশি উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় অনেক গ্রামে এখন কচু চাষ করছেন কৃষকরা।

মীরসরাইয়ের আবাদকৃত কচুর যথেষ্ট সুনাম আছে। তাই এখানকার কচু বাজারে সমাদৃত বেশ। মীরসরাই-মলিয়াইশ রুটের সড়কের পাশে নাজিরপাড়ায় পোদ্দার তালুক গ্রামের আবুল হোসেন ৩০ শতক জমিতে ৯ হাজার কচুর একাংশের উত্তোলন করছিল শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম ও চান মিয়াসহ অনেকে। বৃদ্ধ চান মিয়া বলেন, প্রতিটি কচু পাইকারি ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। মোট কচু বিক্রয় হবে এবার প্রায় দুই-তিন লাখ টাকার মত। তবে অর্ধেক চলে যাবে চাষাবাদ, শ্রমিক ও যাতায়াত ব্যয়ে।

কচু পরিস্কারে ব্যস্ত হোসাইন মিয়া বলেন, এখন শুধু এই গ্রামে না আসে পাশের সব গ্রামেই অনেক জাগয়ায় কচুর চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন দিনভর কচু পরিস্কার করে বেঁধে নিয়ে পরদিন সকালে হাটে নিয়ে যায় পাইকারদের কাছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুর আলম জানান, মীরসরাইয়ের অনেক এলাকায় বর্ষাকালীন সময়ে কচু চাষের যথেষ্ট উপযোগী।
এবার মীরসরাইতে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে কচু আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে দেশি কচুর পাশাপাশি আমরা লতিরাজ নামের একটি কচু কৃষকদের ফলনের পরামর্শ দিয়েছি। যার সুফল এখন সংযোজন হচ্ছে। তবে উপজেলার মঘাদিয়া কচুয়া গ্রামে বেশি কচু আবাদ হয়ে থাকে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
রিফাত ২০ জুলাই, ২০১৯, ১০:৪৬ এএম says : 0
খবরটি পড়ে খুব ভালো লাগলো
Total Reply(0)
আসলাম ২০ জুলাই, ২০১৯, ১১:০৫ এএম says : 0
সরকারিভাবে এদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া দরকার
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন