শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ব্রহ্মপুত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পূর্ব সীমান্তে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর একটি পাকা সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কাপাসিয়া-মনোহরদী উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ। প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৮ হাজার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একটি পাকা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে ভোগান্তি লাগব করা যায় এই দুই উপজেলার মানুষের।

কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও, মির্জানগর, সনমানিয়া, আড়াল গ্রামের মানুষ এ নদের ওপর দিয়ে চলাচল করে থাকেন। পাশাপাশি মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কোঁচেরচর, কীর্ত্তিবাসদী, নিশ্চিন্তপুর, কেরানীনগরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই দুই পাড়ের লোকজন মিলে এলাকা থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকো তৈরী করে তার ওপর দিয়ে চলাচল করেন। বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে প্রতিদিন দুটি কলেজ, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ফাযিল মাদরাসা ও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ ৭/৮ হাজার মানুষ এপার-ওপার চলাচল করে থাকেন।

সনমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন বিএসসি বলেন, মির্জানগর চরে সারা বছরই উৎপাদিত শাক-সবজি দৌলতপুরের রথখলা বাজার, লাখপুর বাজার, কোচেরচর নতুন বাজার, হাতিরদিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে তাদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে পারবে এবং কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দ্রæত সময়ে বাজারজাত করতে পারবেন।

সনমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন মাস্টার বলেন, কাপাসিয়ার সনমানিয়া ও মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মাঝে শত শত বছর ধরে সামাজিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। সেতু নির্মাণ হলে দু’পারের মানুষের মাঝে সম্পর্ক আরো গভীর হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী আল-ফাহাদ বলেন, উভয় পাড়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যেতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আগত অনেক মেহমানেরা সাঁকোতে চড়ার অভ্যাস নেই এবং ছোট-ছোট শিশুরা দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো বেয়ে নদ পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সাঁকো থেকে পড়ে ও নৌকা ডুবিতে অনেক সময় প্রাণ হানীর ঘটনাও ঘটছে। তাছাড়া রাতের বেলায় অন্ধকারে নদ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে চোর-ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বশান্ত ও আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি নিরসনে এখানে দ্রæত একটি সেতু নির্মাণ করা বর্তমান সময়ের দাবী।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মনোহরদীর দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম জানান, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে সেতু নির্মাণ সনমানিয়া ও দৌলতপুর ইউনিয়নের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী। এখানকার দুর্ভোগ লাগবে সেতু নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। সেতুটি বাস্তবায়িত হলে দুই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন তৈরী হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ২০ জুলাই, ২০১৯, ৫:২২ এএম says : 0
HMM TAR MANE KI BANGLADESHER PM DHAKA THEKE ESHE TOMADER BASHER SHAKOTAKE THICK KORE DIE JABE??? TOMRA GRAM BASHIRA SHOBAI MILE TO SHAKO TAKE NIRAPOD VABE GORTE PARO !! ATO OLOSH HOLE DESH KI VABE AGABE???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন