পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ব্রক্ষপুত্র নদের শেরপুর অংশের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের একাধিক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় শেরপুর সদর, শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলার আরো অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রক্ষপুত্র নদের শেরপুর অংশে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীর বাজার পোড়ার দোকান কজওয়ের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ওই সড়কে শেরপুর সঙ্গে জামালপুর ও উত্তরাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
এদিকে গতকাল শেরপুর সদর উপজেলার বন্যার পানিতে ডুবে আরও তিন শিশু নিহত হওয়ায় জেলা গত এক সপ্তাহে অন্তত ৯জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
কমপক্ষে ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ আছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো অনেক পুকুর, জলাশয় এবং খামারের মাছ ভেসে এবং পাড় ভেঙে কোটি কোটি টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পাট, সবজি, রোপা আমন ধানের বীজতলা পানিতে নতুনকরে ডুবে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শতশত কলার বাগান।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হলেও নতুনকরে আর ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়নি বলে বন্যাদুর্গতরা জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন