শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কে এই প্রিয়া সাহা?

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ২:৪১ পিএম

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তকর তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরায় বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে সমালোচিত প্রিয়া সাহা নামের এক নারী। যদিও তার সম্পাদিত পত্রিকায় তার নাম 'প্রিয়া বালা বিশ্বাস'।

তার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার চরবানিয়ারী গ্রামে। শ্বশুর বাড়ি বৃহত্তর যশোরে। প্রিয়ার স্বামী মলয় কুমার সাহা দুদকের সদর দফতরে উপপরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। তার দুই মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা ও ঐশ্বর্য লক্ষ্মী সাহা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করেন।

বাংলাদেশ বিষয়ে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য তুলে ধরায় তার বিচার দাবি করে নেটি সমালোচকদের মতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা অর্জনের চেষ্টা, বিশেষ করে তার দুই মেয়েকে গ্রিন কার্ড পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি দেশবিরোধী এ কাজ করেছেন।

তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন। একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। মাসিক ‘দলিত কণ্ঠ’ নামের ওই পত্রিকায় প্রিয়া সাহার নাম ‘প্রিয়া বালা’ বিশ্বাস বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গেল জুন মাসের ১২ তারিখে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল পত্রিকাটি প্রকাশের ঘোষণাপত্র প্রদান করেন। মাসিক পত্রিকা হলেও এর অনলাইন ভার্সন রয়েছে। এতে সংখ্যালঘু এবং দলিত সম্প্রদায়ের খবর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।

পত্রিকার ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রবিরোধী সংবাদ না ছাপানোর অঙ্গীকার করলেও সম্পাদক প্রিয়া সাহা নিজেই রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বক্তব্য রেখেছেন বলে বর্তমানে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া তিনি দলিত সম্প্রদায়দের নিয়ে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বরত আছেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রিয়া সাহা। থাকতেন রোকেয়া হলে। সে সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।বর্তমানে ‘শারি’ এনিজিও সংস্থার মাধ্যমে প্রিয়া নিজ এলাকার দলিত সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করেন। নেটিমহল ছাড়াও নিজ এলাকার স্থানীয় মহলেও ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mustafizur Rahman Ansari ২০ জুলাই, ২০১৯, ৩:০৫ পিএম says : 0
First work arrest her and send to jail. She is a atheist lady.
Total Reply(0)
mahbubur rahman babu ২০ জুলাই, ২০১৯, ৬:২০ পিএম says : 0
varoter ugroponthi hinduder agent se bichar kora huk
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন