শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অবশেষে রাণীনগরে অভিভাবকহীন ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস

ভেঙ্গে যাওয়া অংশে চলছে মেরামতের কাজ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ৬:৩১ পিএম

নওগাঁর রাণীনগরের মালঞ্চি গ্রামের ছোট যমুনা নদীর অভিভাবকহীন বেড়িবাঁধের প্রায় ৫০হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছিলো ৩টি গ্রাম। গত শুক্রবার ভোররাতে এই বেড়িবাঁধের মালঞ্চি নাম স্থানে ভেঙ্গে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে তা মেরামতের কাজ চলছে। শনিবারের মধ্যে এই ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু সম্পন্ন মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। অপরদিকে ছোট যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় প্লাবিত হওয়া এই ৩টি গ্রামের পানি নেমে যাচ্ছে। এতে করে রাণীনগরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন আমার এলাকার ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি,মালঞ্চি,কৃষ্ণপুর ও আত্রাই উপজেলার ফুলবাড়ি বেরিবাঁধটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে অভিভাবকহীন। কোন দপ্তর কোনদিন এই বাঁধটি সংস্কার করেনি। এমনকি এই বাঁধটিকে কোন দপ্তরই স্বীকার করে না যার কারণে সংস্কার ও উন্নয়নের কোন প্রকারের ছোঁয়া এই বাঁধে কখনো স্পর্শ করেনি। যার ফলশ্রæতিতে বাঁধটি দীর্ঘদিন যাবত চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় ছিলো। গত শুক্রবার ভোর রাতে বাঁধটির মালঞ্চি এলাকার কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। তবে এখনো বাঁধের প্রায় ৪কিমি অংশ চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ আমার ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। শনিবারের মধ্যে সম্পন্ন মেরামত হয়ে যাবে বলে আশা করছি। অপরদিকে গত শুক্রবার বিকেলে ভেঙ্গে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক। অবশেষে তারা অভিভাবকহীন এই বাঁধটি সংস্কারের জন্য দ্রæত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন ভেঙ্গে যাওয়া অংশ বাঁধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে রাণীনগরে বন্যার অনেক উন্নতি হয়েছে। নদীর পানি যেভাবে কমছে তাতে এই উপজেলায় আর বন্যা হওয়ার আর কোন আশঙ্কা নেই। তবে খুশির বিষয় এই যে ঝুঁকিপূর্ন বাঁধ সংস্কারের জন্য বিভাগীয় কমিশনার স্যার, জেলা প্রশাসক স্যার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেব দ্রুত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জোরালো আশ্বাস প্রদান করেছেন। তাই আশা করা যাচ্ছে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সকল দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন যদিও বাঁধটি আমার দপ্তরের নয় তবুও স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য দপ্তর যদি আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমি যেভাবেই হোক আমার দপ্তর থেকে অর্থ বরাদ্দ এনে এই বাঁধটির ঝুঁকিপর্ণ অংশ সংস্কার করে দিবো। এমন ভাবে সংস্কার করে দিবো যেন আগামী ৫০ বছরেও এই বাঁধের আর কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন