মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্র সীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে লড়াই করে বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করেছি। সেই সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলেই আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। বর্তমান সরকার সময়োপযোগী টেকসই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, মৎস্য গবেষনা ও টেকসই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রুপালী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার। সেই জন্য নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে একটি মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হবে। তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে নেত্রকোনার পুরাতন কালেক্টরেট ভবনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ২০-২৪ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনষ্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ একাডেমীর অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার পাল, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জিপি এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্রাপক তফসির উদ্দিন খান, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রকোনা জেলা শাখার সভানেত্রী মন্ত্রী পতœী কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, নেত্রকোনা রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল আমিন প্রমুখ। মৎস্য প্রযুক্তি মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন