বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইজিবাইক থেকে নামিয়ে প্রথমে ধর্ষণ পরে খুন

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ইজিবাইক থেকে নামিয়ে প্রথমে ধর্ষণ পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরে। অভিযুক্ত চালক সাজ্জাদকে আটক করেছে র‌্যাব। ১৯৯২ সালে এক শিশু হত্যা মামলায় সাজ্জাদ দীর্ঘ ১৮ বছর কারাভোগের পর ফের ধর্ষণ করে হত্যা করলেন বলে জানান র‌্যাব-৮ এর কামান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম ।

গতকাল সকালে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান, গত ১৩ জুলাই মাদরাসাছাত্রী দীপ্তির লাশের পরিচয় পাওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে র‌্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। লাশ উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত পুকুরে গত বৃহস্পতিবার আবার তল্লাশি করে র‌্যাব। সেখান থেকে একটি ব্যাগে দীপ্তির পোশাক, স্যান্ডেল ও ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডভোগী ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইজিবাইক চালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের জড়িত হওয়ার সন্দেহ হয়। তাই সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ র‌্যাবের কাছে দীপ্তিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করে।

সাজ্জাদ হোসেনের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে আতিকা ইসলাম জানান, নিহত দীপ্তি গত ১১ জুলাই বোনের বাসা থেকে শহরের চরমুগরীয়ায় চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য ইটেরপোল এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে ওঠে। ইজিবাইকে আর কোন যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি থাকায় চালক সাজ্জাদ দীপ্তিকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দীপ্তিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে কয়েকটি ইটসহ দীপ্তির পোশাকবিহীন লাশটি বেধে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে দীপ্তি হত্যার ঘটনাটি সামনে চলে আসে।

উল্লেখ্য, ১৩ জুলাই মাদারীপুরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দীপ্তির বাবা হাসপাতালে এসে লাশটি তার মেয়ে দীপ্তির বলে নিশ্চিত করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (15)
Nazmul Huda ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
It is time to teach our children from school. The text should include how to respect individual (opposite sex), how to behave, how to help each other in every situation of our reactions. Text books, teachers and parents might play an important role in this regard. Mass media (movies, dramas, tv series and documentaries) should avoid the oppressive acts on others rather focusing on respect to others, cooperative to others and the positive role of human being. Really we have lacking of guidelines how to prepare our everyday life positively.
Total Reply(0)
অয়োময় রনী ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
কি লিখব??বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা কি সত্যি এরকম হচ্ছে??হে আল্লাহ রহম কর।হে প্রশাসন আপনারা সাধারণ মানুষের জান মালের হেফাজতে আন্তরিক হোন।
Total Reply(0)
মোঃ জহুরুল হক ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
বিচারহীনতা এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এর জন্য দায়ী!
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
এসব নর পিশাচদের দ্রুত বিচার আইনে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এদের বিচার বছরের পর বছর চলতে দেওয়া যাবে না।
Total Reply(0)
গোধূলী সন্ধ্যা ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
আজকের দিনের খবরটা শুনলাম, তাই তো বলি, একটা আস্ত দিন চলে যাবে আর এই সংবাদ শুনবো না, এটা তো অস্বাভাবিক। ধিক্কার জানাই আমাকে, আমি এই দেশে জন্ম নিছি
Total Reply(0)
Mohammad Rubal ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
১৯৯২ সালে যদি তাকে ৭ বছরের শিশু হত্যার দায়ে ফাসি দেয়া হতো তাহলে আজ দিপ্তী বেঁচে থাকতো। আজও যদি বিচার না হয় তাহলে কিছুদিন পর আরো একটি হত্যা দেখতে হবে।
Total Reply(0)
Arafat ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
আমি লজ্জিত... আমি বাকহীন... আমি মর্মাহত ... আমি মানুষ, এই দেশে জন্মই আমার আজন্ম পাপ। আর কত দেখব? আর কেন দেখব? কোন প্রতিকার কি নাই? ... এই দেশে আমরা সবাই মুক এবং বধির।
Total Reply(0)
Ohida Khanam Moyna ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
আমার মতে ধর্ষণ কারীর বিচার না চেয়ে ওদেরকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হোক। সাধারণ মানুষ বিচার শুধু চেয়েই যাবে কিন্তুু ধর্ষকের সঠিক বিচার কখনোই পাওয়া হবে না। ক্ষমতাধীনরা তো আর ধর্ষিত হয় না বরং তারাই সাধারণ মানুষকে ধর্ষণ করে। তারা জানে যে তারা নিজেরা কখনো নিজেদের বিচার করবে না। তাই আমার মতে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সাধারণ জনগণেরই করা উচিত। যেখানে আইন স্বইচ্ছায় ঘুমিয়ে আছে সেখানে তাকে সাধারণ মানুষের পক্ষে জাগানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
Total Reply(0)
রানি এলিজাবেথের পুতি বৌ ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
কিন্তু সরকার কে দেখে তো মনে হচ্ছে না এত খারাপ কিছু হচ্ছে । অনেক শান্তি তে আছি। আসলে সবাই মিলে একটা গণআন্দোলন করা উচিত যার বিষয় হবে ধর্ষক যদি চিহ্নিত হয় তাহলে বিচার ছাড়া প্রকাশ্যে মাথা কেটে 7দিন ঝুলিয়ে রাখা হবে। ধর্ষকের কি ব্যাকগ্রাউন্ড, কি সাইকোলজিক্যাল সমস্যা এত কিছু জানার দরকার নেই
Total Reply(0)
Aminul Islam ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:২০ এএম says : 0
ধর্ষক ও হত্যাকারীর পরিচয় নিশ্চিত হলে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করুন। জাতি তথা ধর্ষিতার পক্ষের লোক গুলো আপনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
Total Reply(0)
Jibon Safayat ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:২০ এএম says : 0
দেশের বর্তমান আইনে একে সাজা দিতে গেলে দেখা যাবে আগামী ১০/১২ বছর পর সে আবার একই কাজ করছে।
Total Reply(0)
S.K Sumon ২১ জুলাই, ২০১৯, ১:২০ এএম says : 0
এবার অন্তত প্রশাসন নড়েচড়ে বসেন। দেশটারে আর নড়ক বানাইয়েন না।দরকার হলে এদের সাথে কিছু ভালো মানুষো মাইরা ফেলেন তাও দেশের মানুষ রে শান্তি দেন।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ২১ জুলাই, ২০১৯, ৪:০৩ এএম says : 0
আমাদের সোনার দেশের এই অবস্থার একমাত্র কারণ ভোট ....। ভোট ..............কে দেশ হইতে বিতারিত করা হোক। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
মনির ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:৩৮ পিএম says : 0
হত্যার বিচার ফাঁসি হওয়া উচিত। যারা একবার হত্যা করে বেঁচে যায় তাদের কাছে হত্যা করাটা ডাল ভাতের মত হয়ে যায়! আমাদের এলাকাতেও একই রকম একটা ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে অনেক বছর আগে। হত্যা মামলার আসামি কারাভোগের পর ছাড়া পেয়েছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত, মুখে দাড়ি ছিল। সবাই ভাবল জেলে গিয়ে হয়ত ভাল হয়ে গেছে। কিন্তু না পরে সে একজন অনেক ভাল মানুষকে জবাই করে হত্যা করেছিল! পরবরতিতে জনগন অবশ্যই গনপিটুনি দিয়ে ঐ খুনিকে মেরে ফেলেছিল। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
Total Reply(0)
Fahima Bahauddin ২১ জুলাই, ২০১৯, ৫:৪০ পিএম says : 0
He should be hanged. Because he wasn't hanged the first time, today he took another life.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন