বিশেষ সরকারি বিমানের বদলে ‘কমার্শিয়াল ফ্লাইটে’ যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের সফরে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর মাধ্যমে দেশের ব্যয় সংকোচনের আরেক নজির স্থাপন করলেন তিনি। শনিবার কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যাত্রা করেন তিনি। দোহায় যাত্রাবিরতি হলে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সবার সাথে অপেক্ষাও করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে খরচ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বিলাসবহুল কোনও হোটেলে না থেকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানের বাসভবনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরান খান। তবে পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন হোয়াইট হাউসে থাকার আমন্ত্রণ জানান।
আর্থিক সংকটে দিশেহারা পাকিস্তানে সরকারি খরচ কাটছাঁটের জন্য কয়েকমাস আগেই সক্রিয় হয়েছেন ইমরান। মন্ত্রী ও আমলাদের পাশাপাশি নিজের জন্যও বেছে নিয়েছেন স্ব-আরোপিত ব্যয় সংকোচন নীতি।
ইমরানের সফরসঙ্গীদের তালিকায় রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদ। ২২ জুলাই সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান খান। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক আর্থিক সমন্বয়ের পাশাপাশি পাকিস্তানের কারাগারে আটক চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদির মুক্তির বিষয়ও থাকবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার মুক্তির জন্য ইমরান খানের প্রতি অনুরোধ জানাতে পারেন ট্রাম্প।
সাবেক আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরিয়ে দিয়েছিলেন শাকিল। পরে রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে ২০১২ সালে লাদেনের ওই চিকিৎসককে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত।
পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল মাইক মাইলি-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে জেনারেল বাজওয়ার। দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন মাইক মাইলি। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন