চাঁদপুরে এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় শহরের ষোলঘর ওয়াপদা কলোনির নিজ বাসা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত জয়ন্তী চক্রবর্তী (৪৮) শহরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁর বাবার বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায়। স্বামী অলোক গোস্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ১৯৯০ সালের ১৬ মে শিক্ষক পদে যোগ দেন তিনি।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তরা খুব ঠাণ্ডা মাথায় জয়ন্তী চক্রবর্তীকে হত্যা করে। তবে ঘাতকরা বাসা থেকে কোনো কিছু নেয়নি। লাশ বাসার মেঝেতে পড়ে ছিল। পাশেই ছিল ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। টিভি সেটটি চালু ছিল। যে চারতলা দালানে জয়ন্তী সপরিবারে থাকতেন, সেখানে অন্য কোনো পরিবার ছিল না। হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিমউদ্দিন জানান, পরিবারের সদস্যরা রাজধানী থেকে ফেরার পর এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বাবুল জানান, গতকাল জয়ন্তী চক্রবর্তী ছুটিতে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে তিনি সহকর্মীদের নিয়ে ওয়াপদা কলোনিতে ছুটে যান।
চাঁদপুর হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বন্যা বলেন, বেশ বিনয়ী ও সজ্জন ছিলেন জয়ন্তী চক্রবর্তী। প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা শাহাবউদ্দিন পাটোয়ারী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ১৫ মাস আগে এই ষোলঘর এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে কলেজ অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সী নিহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন