পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কিছুটা কমে শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে জেলার মৃগী ও দশানী নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। ফলে শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্তিতির অবপরিবর্তিত রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার ৫২ ইউনিয়নের মধ্যে ৪২টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানি বন্দি হয়ে আছে।
জেলায় সবজি ক্ষেত, আমন বীজতলা, আউশ ধানের ক্ষেত, পাট, কলার বাগানের অন্তত সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির আবাদ ক্ষতি গ্রস্থ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মৎস চাষিদের দাবি তাদের অন্তত ৭ কোটির টাকার মাছ, পোনা মাছ ভেসে গেছে ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। গতকালও পানিতে ডুবে শ্রীবরদীর ঝগড়ারচর নয়া পাড়ার কবিতা নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, শুকনো খাবারসহ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। পুলিশের ময়মনসিংহ র্যাঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের ৩ শতাধিক বণ্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, স্যালাইন ও ঔষধ বিতরণ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন