শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জবাব দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই, কাশ্মীর বিতর্কে তোপ রাহুলের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ৭:৪৬ পিএম

কংগ্রেস সভাপতি থেকে পদত্যাগ করে বলেছিলেন, তিনি শুধুই সাংসদ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন। তার পর থেকে এত দিন কার্যত চুপচাপই ছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রসঙ্গে সরকার অস্বস্তিতে পড়তেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। ‘দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মোদি’— টুইটারে তোপ রাহুলের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘দুর্বল’ বলে আক্রমণ করে রাহুলের দাবি, জবাব দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছিলেন। সোমবার সন্ধ্যার এই সংক্রান্ত খবর সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় ভারতে। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে আক্রমণ করে, দেশের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন মোদি। অস্বস্তি ঢাকতে রাতেই বিবৃতি দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। মঙ্গলবার সংসদ শুরু হতেই বিরোধীরা চেপে ধরে সরকার পক্ষকে। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে হই হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস, সিপিএম থেকে শুরু করে সব বিরোধী দলের সাংসদরা। বিরোধীদের তুমুল হই হট্টগোলের মধ্যে সংসদের উভয় কক্ষেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিবৃতি দিতে বাধ্য হন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা।

সংসদের ভিতরের এই লড়াই জারি রাখতে টুইটারকে হাতিয়ার করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে টুইটারে তার অভিযোগ, ‘ট্রাম্প বলছেন, নরেন্দ্র মোদি তাকে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। যদি তাই হয়, তবে মোদি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। লঙ্ঘন করেছেন শিমলা চুক্তি।’

সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ‘ভারতের পক্ষথেকে এমন কোনও প্রস্তাব ট্রাম্পকে দেওয়া হয়নি।’ কিন্তু বিরোধীরা তাতে সন্তুষ্ট নন। তাদের বক্তব্য, যা বলার মোদিকেই বলতে হবে। রাহুল তার থেকে আরও এক কদম এগিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘দুর্বল’ বলে মন্তব্য করেছেন। রাহুলের বক্তব্য, ‘দুর্বল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্বীকার যথেষ্ট নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা মোদিকেই স্পষ্ট করতে হবে।’

কংগ্রেস সভাপতির পদে থাকাকালীন এবং ভোট প্রচারের সময় রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়ান তিনি। এখনও সভাপতি পদে কাউকে বসাতে পারেনি কংগ্রেস। উত্তরসূরি ঠিক করার আগে এখনও যে কোনও ইস্যুতে রাহুলই যে কংগ্রেসের মুখ, রাহুলের মন্তব্যে কার্যত সেটাই স্পষ্ট হল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। রাহুল যে ফের ফর্মে ফিরছেন, সেটাও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন