পাবনা সুজানগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ ও তার পুত্র সুজানগর মহিলা কলেজের প্রভাষক জাহিদুল হাসান রোজ কে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সুজানগর ভবানীপুরে তার নিজ বাড়ীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেরছ। আটককৃতরা হলেন- সুলতান মাহমুদ’র আপন ভাতিজা মো.শহীদুর রহমান, তার পুত্র নিরব এবং শহীদুর রহমানের ভাগ্নে আনিছুর রহমান । আটকের পরপরই তাদেরকে মঙ্গলবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালতের মাধমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সুজানগর থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ও পূর্ব শত্রুতা হিসাবে মঙ্গলবার আনুমানিক ১১টার দিকে সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে মারপিটের এ ঘটনা ঘটে। এদিকে,
এ ঘটনার পরপরই মারপিটের শিকার আহত মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদকেকে দেখতে সুজানগর হাসপাতালে যান সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
্এই ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী জিয়াকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
সুজানগর থানা ইন্সপেক্টর(তদন্ত) হাদিউল ইসলাম জানান মারধরের এ ঘটনায় অপর আসামীদেরকের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান অনেকদিন আগে থেকেই উভয় পক্ষ্যের মধ্যে জমি-জমা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে করে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতা এনে শাস্তি দাবি করেছেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ'৭১ পাবনা জেলা শাখা।
সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ'৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম.আব্দুর রহিম পাকন বলেন- আজ "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার" সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করা মানে জাতীর সূর্য সন্তানদের আহত করা। আমরা মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ এর উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন