বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেবর-ভাবী লড়াই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরের মাটি এখনো শুকায়নি। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ। দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ‘নেতৃত্ব’ নিয়ে জিএম কাদের (দেবর) ও বেগম রওশন এরশাদের (ভাবী) মধ্যে বিরোধ ওপেন সিক্রেট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভরতা জাতীয় পার্টিকে করেছে শেকড়হীন; নেতৃত্বের বিরোধ হলে দলটির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

জাপায় এই বিরোধ নতুন কোনো ঘটনা নয়; এরশাদ জীবিত থাকার সময়ও স্বামী এরশাদ ও স্ত্রী রওশনের বিরোধ নিয়ে মিডিয়ায় অনেক মুখরোচক লেখালেখি হয়েছে। ২০০৭ সালে রওশন এরশাদ বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে স্বামী এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কার করে নিজেই জাপার চেয়ারম্যান হয়ে প্রফেসর ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেন। যদিও ওয়ান ইলেভেনের কারণে ২২ জানুয়ারির সেই পাতানো নির্বাচন ‘বাতিল’ হয়। মূলত স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধেই এরশাদের শেষ জীবনের ২০ বছর আলাদা বসবাস করেন।

জাপার কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেকড় পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এরশাদের অবর্তমানে দলে জিএম কাদেরের বিকল্প নেই। রওশন এরশাদ বিতর্কিত; অন্য সিনিয়র নেতাদের প্রতি কর্মীদের আস্থা নেই। বরং পরিচ্ছন্ন এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন জিএম কাদেরের প্রতি সবাই আস্থা রাখতে চায়। রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ নিশ্চিত করতেই হঠাৎ প্রেস বিজ্ঞপ্তি মিডিয়ায় পাঠিয়ে দেবর-ভাবী বিরোধ উষ্কে দিয়েছেন। তবে রওশনকে ব্যবহার করে সুযোগসন্ধানী কিছু নেতা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিতে চাচ্ছেন। দলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই।

ভাবী রওশন এরশাদকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করেন জানিয়ে গতকাল জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত বিবৃতি হাতে লেখা কাঁচা। ওই বিজ্ঞপ্তি বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরও কোনোও সমস্যা থাকলে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করব। এরশাদ আমাদের পরিবারে পিতৃতুল্য ছিলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মতো। এরশাদের নির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছি। জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। তারা যে নামেই সম্বোধন করবে তাতে কোনোও সমস্যা নেই। জাতীয় পার্টিতে কাজ করাই আসল কথা।

দলের নেতৃত্ব নিয়েই টানাটানি শুধু নয়; এরশাদ জীবিত অবস্থায় তাঁর সম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি বনানী থানায় ‘সম্পদ রক্ষায়’ জিডি করেন। সেখানে তিনি তাঁর সম্পদ দলের লোকজন ও কর্মচারীরা ‘ভুয়া সই’ বা অন্য উপায়ে হাতিয়ে নিতে পারে বলে অভিযোগ করেছিলেন।

জীবিত এরশাদের সময়ও জিএম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা পদে পদায়ন এবং অপসারণ নিয়েও বিরোধ হয়। রওশনের চাপেই স্বামী এরশাদ বাধ্য হয়েই ভাই কাদেরকে হটিয়ে তাকে (রওশন) বিরোধী দলের উপনেতা পদে বসান। এরশাদ তার মৃত্যুর আগে ৪ মে জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেন এবং তার অবর্তমানে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে একটি সাংগঠনিক নির্দেশনা দেন। তখন থেকেই রওশন অনুসারী বলে পরিচিত কয়েকজন সিনিয়র নেতা বেঁকে বসেন। তারা রওশনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগে বি-টিম হিসেবে রেখেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগ করতে মরিয়া। ৯০ বছর বয়সী এরশাদের অসুস্থতা দীর্ঘ হাসপাতালে থাকা ও মৃত্যুর পর কবর দেয়া পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা না হলেও কুলখানির পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। অবশ্য হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া সকলেই জিএম কাদেরকে এরশাদের বিকল্প নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

অসুস্থ এরশাদ চিকিৎসার জন্য কয়েক বছর ঢাকা-সিঙ্গাপুর দৌড়ঝাঁপ করছেন। মাসের পর মাস বিছানায় পড়ে ছিলেন। রাতে ভয় পেয়ে সিএমএইচে গিয়ে থেকেছেন। স্ত্রী রওশন এরশাদ কখনো অসুস্থ স্বামীকে দেখতে প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় যাননি। এরশাদের মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্বামীকে দেখতে প্রথম তিনি সিএমএইচে যান। এর আগে যদিও এরশাদ বেঁচে থাকার সময় দলের চেয়ারম্যান পদ জিএম কাদেরকে ‘উইল’ করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই ছিল কর্মীদের কাছে উপভোগ্য ইস্যু। জিএম কাদেরকে ‘পদ দেয়া’ এবং সেই পদ থেকে ‘অব্যাহতি’ নিয়ে রংপুর বিভাগের নেতারা আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরে বাধ্য হয়েই জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং রওশন এরশাদ সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা পদে বসানো হন।

এরশাদের মৃত্যু এবং কবর দেয়ার পর গত ১৮ জুলাই বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এতে অসন্তুষ্ট হন রওশনপন্থী হিসেবে চিহ্নিতরা। চেয়ারম্যান হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠক করেন জিএম কাদের। অত:পর ২০ জুলাই ভাবী রওশন এরশাদের মান ভাঙ্গাতে তার গুলশানের বাসভবনে যান। এসময় দেবর কাদেরকে দোয়াও করে দেন মাতৃতুল্য ভাবী রওশন এরশাদ। সেই ‘দোয়া’র ৪৮ ঘণ্টা না পেরুতেই ২২ জুলাই সোমবার গভীর রাতে জিএম কাদের জাপার চেয়ারম্যান নন বলে একটি বিবৃতি পাঠান।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদের প্যাডে হাতে লেখা ‘জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ লিখেছেন, ‘স¤প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মারফত আমরা জানতে পেরেছি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে; যা আদৌ কোনো যথাযথ ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্বপালনকালে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ধারা ২০(২)এর খ-এ দেয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রেসিডিয়ামের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যানের অবর্তমানে ধারা ২০(২)এর ‘ক’কে উপেক্ষা করা যাবে না। আশা করি, বর্তমানে যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী চেয়ারম্যান না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।’ বিবৃতিতে এ ঘোষণার প্রতি একমত পোষণকারী ৭ জন সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্মা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ ছাড়া আর কারো সই নেই।

বিষয়টি নিয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, পার্টি চলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। দলের চেয়ারম্যান জীবিত অবস্থায় তার অবর্তমানে দল পরিচালনা করার জন্য গঠনতন্ত্রের ২০/১-ক ধারা মোতাবেক জিএম কাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন তিনিই হবেন পার্টির চেয়ারম্যান। একই গঠনতন্ত্রে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলের উপনেতা বানানো হয়েছে। এখন উনি বিরোধীদলের নেতা হবেন এটাই স্বাভাবীক। এখানে ভূল বুঝাবুঝির কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, এরশাদের ইচ্ছা ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান, রওশন এরশাদ বিরোধীদলের নেতা। তাদের যৌথ নেতৃত্বেই পার্টি পরিচালিত হবে। এর বাইরে গিয়ে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার জন্য পার্টির দুই একজন নেতা চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সবাই যদি জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতাম তাহলে সবাই সম্মানিত হতাম। রওশনের বিবৃতিতে নাম রয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এমএ রশিদ চৌধুরী। গতকাল বিবৃতির বিষয়ে অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি কোনো বিবৃতি দেইনি। এরশাদের নির্দেশনা অনুযায়ী জিএম কাদেরই পার্টির চেয়ারম্যান।

দেবর-ভাবীর লড়াই নয়; এরশাদ যখন জীবিত ছিলেন তখন স্বামী-স্ত্রীর লড়াই ছিল ওপেন সিক্রেট। গত কয়েক বছরে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধী বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা না করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েকবার ঝগড়া হয়। যা জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের বি-টিমে রূপান্তর ঘটানো হয়। জাতীয় পার্টি এখন কার্যত গল্পের গণিমিয়া। নিজস্ব কোনো রাজনীতি নেই; আওয়ামী লীগ যা বলে সেটাই তারা পালন করে।

এরশাদ ও রওশন এরশাদের বিরোধের জেরই বর্তমানের দেবর-ভাবী বিরোধ। স্বামী এরশাদ ও স্ত্রী রওশনের রাজনীতি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে ২০০৭ সালে। তখন রওশন এরশাদ ছিলেন তারেক রহমানের হাওয়া ভবনের অনুগত। ২২ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে ইস্যু করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রাজনৈতিক বিরোধে রূপ নেয়। এরশাদ আন্দোলনরত আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মহাজোট আর রওশন এরশাদ বিএনপির ইচ্ছানুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে লাঙ্গলের প্রার্থী দেন। দেশের টলটলায়মান রাজনীতির মধ্যে সে সময় জাতীয় পার্টি থেকে স্বামী এরশাদকে বহিষ্কার করে রওশন এরশাদ নিজে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও গোলাম মসিহ (বর্তমানে সউদী আরবে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত) মহাসচিব করেন। এরশাদও অনেকটা বাধ্য হয়ে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেন। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ও গাইবান্ধা থেকে তিনটি আসনে প্রার্থী হয়ে রওশন পরাজিত হন। এরশাদের রংপুর-৩ ছেড়ে দেয়া আসনে উপ-নির্বাচনে রওশন এমপি হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের কাহিনী সবার জানা। এরশাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বামীকে হাসপাতালে রেখে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেন এবং জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হন। স্বামী-স্ত্রীর সবশেষ বিরোধ নতুন রূপ নেয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভাই জিএম কাদেরকে দলের কো চেয়ারম্যান করায়। এই সিদ্ধান্তে স্বামী এরশাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রওশন। ভাঙ্গনের মুখে পড়ে দল। শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানা হয়। অথচ ২০১৪ এবং এর আগে ও পরে সব সময় জিএম কাদের বড়ভাই এরশাদের সঙ্গেই ছিলেন। এমনকি ভাইয়ের নির্দেশ পালন করায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেননি।

উল্লেখ, জাতীয় পার্টি পুনর্জন্ম লাভ করে মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৯১ সালে পহেলা জানুয়ারি। ’৯৪ সালে কারাবন্দী এরশাদ দলের কান্ডারী মিজান চৌধুরীকে চিঠির মাধ্যমে রওশনকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নে গড়িমসি করে মিজান চৌধুরী বন্দী এরশাদকে জানান, স্যার এটা আপনার ভুল সিদ্ধান্ত। রওশন এরশাদ ও জিনাত মোশাররফকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবশ্য মিজান চৌধুরী এরশাদের নির্দেশ মতো দু’জনকেই প্রেসিডিয়াম পদে বসান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Osman Goni ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
এই বুড়ীটাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। কারণ ঐ দিন জি,এম, কাদের কে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলেন আর এখন বলেন না
Total Reply(0)
Mahmudur Rahman ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
কুরবানিরর ঈদ চলে আসছে, নতুন ছবি রিলিজ হবে, সবগুলা ফাউল
Total Reply(0)
Khorshed Bin Nazir ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 1
রওশন কে চেয়ারম্যান তার ছেলে সাদ কে মহাসচিব করা হোক
Total Reply(0)
Arif Biswas ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
মাননীয় রওশন এরশাদ, জি এম কাদের কে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করবেন না।আপনি একটু উপলব্ধি করে দেখেন তিনিই যোগ্য নেতা।জীবনের শেষে এসে এই ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত নিবেন না
Total Reply(0)
Md. Shamim ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
জি এম কাদের কে দিয়ে সরকার খুব একটা ভরসা পাচ্ছে না। তাই ওনাকে(রওশন এরশাদ) দিয়ে একটু কলকাঠি নাড়াচ্ছে।
Total Reply(0)
Fëàrlêss Rüßêl ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
ফাটল আরম্ভ হয়েছে জাতীয় পাটি এবার ৩ভাগ হবে। ১ রওশন এরশাদ। ২ বিদ্দিশা এরশাদ। ১ জিএম কাদের।
Total Reply(0)
Saiful Islam ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
রোশন এরশাদের এক পা কবরস্থানে তার পরেও রাজনীতি ছাড়বে না মনে হয় ! যতটুকু জানি ইসলামে আছে স্বামী মৃত্যুবরণ করলে চল্লিশ দিনের মতো বাহিরে বের হওয়া যাবে না বা কথা বলা যাবে না !
Total Reply(0)
Md Mojnu ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
রওশন মানতে হবে না আমরা জি এম স্যারকেই মানি।
Total Reply(0)
Tapon Nil ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
জাতীয় পার্টি আর জাতীয় পার্টি আছে না কি? দল তো অনেক আগেই ভেঙে চুরমার শুধু মাএ ঐ টুকু বেঁচে আছে আওয়ামী লীগের ব্যাবহারের জন্য
Total Reply(0)
Milon Ahamed ২৪ জুলাই, ২০১৯, ৯:৪৫ এএম says : 0
জিএম কাদের সাহেবের মত একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্ববান ভদ্রলোকের নেতৃত্ব রওশন ম্যাডাম ও তার অনুসারিরা মেনে নিতে পারবে না এটাইতো স্বাভাবিক
Total Reply(0)
Ar Elias ২৪ জুলাই, ২০১৯, ৯:৪৮ এএম says : 0
চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু!
Total Reply(0)
safik ২৪ জুলাই, ২০১৯, ৩:৪১ পিএম says : 0
জি এম স্যারকেই মানি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন