বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের কচুয়ায় আয়না বেগম (১৭) নামের এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আমজাদ খান (৪২) নামের একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা অর্থ দণ্ড দিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম আসামি আমজাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌসুলি শরৎচন্দ্র মজুমদার বলেন, গাবরখালী গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে আয়না খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে খলিশা খালির দলিল উদ্দিনের ছেলে আমজাদ খান তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে । এতে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
পরে আয়না খাতুন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে আমজাদ ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে হত্যা করে। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের বাবুলের সুপারি বাগানের খালের পাড় থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর (আয়না) গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের এ এস আই মিয়া রব বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে । মামলার পর ডিবি পুলিশের এস আই জিয়াউর রহমান তদন্ত করে এক বছর পর ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলা খলিশাখালী গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ খানের নামে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে আরো উল্লেখ করা হয়েছে জনৈক আয়না বেগমের সাথে মোবাইলে প্রেম হলে তাকে কৌশলে ডেকে এনে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায় আমজাদ খান। নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ খুনিকে সনাক্ত করে এবং আসামী ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। আজ সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মো.আমজাদ খানকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন