শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও বৈষম্য অব্যাহত আছে : রানা দাশগুপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ৪:১৮ পিএম

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, প্রিয়া সাহা সংগঠনের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক এটি সত্যি। তবে সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্ত বা দায়িত্ব নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাননি বা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেননি। যা করেছেন নিজের দায়িত্ব নিয়ে করেছেন। এর সাথে সংগঠনের কোন সম্পর্ক নেই। আর এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এহেন সাংগঠনিক পরিচিতি নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে এটিকে ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ড’ বিবেচনায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গত ২৩ জুলাইয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির জরুরী সভায় প্রিয়া সাহাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

রাণা দাশগুপ্ত বলেন, তিনি ঢাকায় ফিরে এলে তার বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অবস্থান থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও বৈষম্য অব্যাহত আছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের সাথে প্রিয়া সাহার সাক্ষাৎ ও সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) হলে সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, নির্মল রোজারিও, মঞ্জু ধর, ভদন্ত সুনন্দপ্রিয় মহাথেরো, নির্মল চ্যাটার্জী, মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ব্যক্তির বক্তব্যকে পুঁজি করে সম্প্রদায় বিশেষকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর যে ঘৃণ্য অভিসন্ধি আমরা লক্ষ করেছি তা দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গত ২১ জুলাই ২০১৯ তারিখে লন্ডন থেকে প্রিয়া সাহার কাছ থেকে ব্যাখ্যা জানার আগে তার বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার পাশাপাশি তার পরিবারের জীবন ও সম্পদ রক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা গোটা জাতিকে আশ্বস্ত করেছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে আন্তরিক স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, এটিও অস্বীকারের উপায় নেই, বিগত দশ বছরে অন্ততঃ এ সরকারের আমলে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় বেশ খানিকটা অগ্রগতি ঘটেছে। তবে শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন বাতিল হয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছায় প্রণীত হলেও তার বাস্তবায়ন আজো থমকে আছে। রাষ্ট্রীয় মৌলনীতি হিসেবে সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ফিরে এসেছে ঠিক, তবে সাম্প্রদায়িক আবরণ ও আভরণ থেকে তা আজো মুক্ত হতে পারে নি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি আছে, তবে আরো অনেক কিছু করার বাকী আছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত অংগীকার পূরণের পাশাপাশি অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সমস্যাবলী নিরূপণে ও তা থেকে উত্তরণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্যে সংসদীয় কমিশন গঠনের দাবী জানান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Miah Muhammad Adel ২৫ জুলাই, ২০১৯, ৪:৫৩ পিএম says : 0
এ সরকরের আমলে যেখানেই যাওয়া যাক সংখ্যালঘুদের দ্বারা ভর্তি। এক সময় বলতে গেলে সব ডিসির পদ তাদের দখলে ছিল। সংখ্যায় মষ্টিিমেয় হয়েও ৩৩% গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল। রানা দাশের লজ্জা লাগা উচিত সরকারের সংখ্যালঘু তোষণনীতির অস্বীকারে।
Total Reply(0)
সারোয়ার কাদের ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৫ পিএম says : 0
রানা দাশগুপ্তের কথার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন