বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভয়ে আছেন জার্মানির মুসলমানরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ৫:১৪ পিএম

গত জুলাই মাসে জার্মানির চারটি শহরের মসজিদে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেগুলো ভুয়া প্রমাণিত হলেও মুসলমানদের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে। ফলে তারা সরকারের কাছে আরও বেশি নিরাপত্তা চাইছেন।

কোলনে অবস্থিত জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদও হুমকি পাওয়ার তালিকায় ছিল। কোলন ছাড়াও ইজালন, ফিলিঙ্গেন-স্ভেনিঙ্গেন ও মিউনিখের মসজিদে হুমকি দেয়া হয়েছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ডুইসবুর্গ, মানহাইম ও মাইনৎস শহরের মসজিদেও বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়।

এসব ঘটনায় মুসলমানরা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ বলে ডয়চে ভেলেকে জানান জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমসের মুখপাত্র নুরহাত সয়কান। এই অবস্থায় ‘মুসলমানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব’ বলে মনে করেন তিনি। সয়কান বলেন, সব ধর্মের মানুষ যেন নির্ভয়ে তাঁদের ধর্মপালন করতে পারেন, তা জার্মান সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। ‘আমাদের অস্তিত্ব যেমন ঝুঁকির মুখে, তেমনি আমাদের গণতন্ত্রও। এটা গ্রহণযোগ্য নয়,’ বলেন তিনি। সয়কান জানান, মসজিদে নিরাপত্তা বাড়াতে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সরকার এখনও কিছু করেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ২০১৭ সালে জার্মানির ২৩৯টি মসজিদে হামলা হয়েছিল। এই সময়ে এক হাজার ৭৫টি ইসলামোফোবিক অপরাধের (ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি কারণে করা অপরাধ) ঘটনাও ঘটে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে বাম দলের অনুরোধে প্রকাশ করা তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের প্রথম নয় মাসে ইসলামোফোবিক হামলায় ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। আগের বছর একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল ২৭।

সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমসের চেয়ারম্যান আইমান মাজায়েক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে মুসলমানদের উপর হামলার তথ্য রেকর্ড করা হচ্ছে। তখন থেকে হামলার সংখ্যা বাড়ছে। শারীরিকভাবে মুসলমানদের আঘাত করা হচ্ছে। এই আঘাত দিন দিন আরও বেশি সহিংস হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, হামলার সংখ্যা আরও বেশি হবে, কারণ অনেক মুসলমান এসব ঘটনা পুলিশকে জানান না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন