কখনো কারো কাছে মাথানত করেন না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের সফর শেষে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে সমবেতদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় বিদেশে ‘ভিক্ষা করার’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘আমি কারো কাছে মাথা নত করিনি। আমার দেশকেও মাথানত করতে দেবো না। আমরা আত্মমর্যাদাশীল জাতি।’ এর আগে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি অভিযোগ করেন, ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্র সফরে জাতিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন।
ইমরান খান বলেছেন, ‘আমার লড়াই হলো পাকিস্তানকে বিশ্বের অন্যতম একটি মহান দেশে পরিণত করা। এটা করা হবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দেখানো মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে, এ নীতির ওপরই মদিনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইমরান খানের সমালোচনা করেন বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেন, ‘ইমরান একজন শাসক। তিনি কোনো নেতা নন। পাকিস্তানে এমন একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি নিজের কথা নয় বলবেন সব পাকিস্তানির কথা।’
এদিকে ১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তালিবানদের সাথে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ওয়াশিংটনে বসেই তালিবানদের সাথে আলোচনায় বসার ঘোষণা দেন তিনি। ইমরান খান জানান, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গেও তালিবানের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি আফগান তালিবানের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে কাবুলের অবস্থা তখন তালেবানের সাথে আলোচনার জন্য উপযুক্ত ছিল না। তাই তিনি তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাত করেন ইমরান খান। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসবাদ বন্ধে পাকিস্তানের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন পম্পেও। ইমরান খান বলেন, আমি সবর্দা বলেছি যে সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আফগান যুদ্ধের সমাধান করা যাবে না। এ কারণে তাদের মধ্যে আস্থা অর্জনে আমি সক্ষম হয়েছি। সূত্র : এনডিটিভি, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন