বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, খাদ্যের জন্য হাহাকার

বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯, নিখোঁজ ২

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ২:০৮ পিএম

কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত হলেও মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুন। নেই খাদ্য। নেই বিশুদ্ধ পানি। নেই শৌচোকর্ম সারার সু-ব্যবস্থা। প্রকৃতির ডাক এলেই চরম ভোগান্তিতে পড়ে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। কারো ঘরে রান্না হলেও নেই তরকারী। ফলে শুকনো ভাত লবণ চটিয়ে খাওয়া ছাড়া কোন গতি নেই। এ দুর্ভোগ জেলার প্রায় সাড়ে ৯লাখ বানভাসি মানুষের।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছাঃ সুলতানা পারভীন জানান, বন্যায় এ পর্যন্ত বন্যায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২জন নিখোঁজ রয়েছে। এরমধ্যে উলিপুর উপজেলায় ৯শিশুসহ ১১জন, চিলমারী উপজেলায় ৬জন শিশু, রৌমারী উপজেলায় ১জন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ১জন রয়েছে।কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ২জন মহিলা নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯ সে.মি এবং ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ২১সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা দুর্গতদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ৫টি ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও স্যালাইন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে বলে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা:এসএম আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ করছেন। বেসরকারি এনজিওগুলো এখনো হাত গুটিয়ে বসে আছে। ডোনার সহায়তা না করায় তারা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। অপরদিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকে এগিয়ে আসলেও তা একেবারেই নগণ্য। ফলে বানবাসীদেরর মধ্যে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩টি পৌরসভা এবং ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ইতোমধ্যে বন্যায় ৬০টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭২টি, লোকসংখ্যা ৯লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮জন, ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭২টি, ফসলি জমি ১৯ হাজার ৬৩৮ হেক্টর, মারা গেছে ২০জন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ২৬টি, পাকা সড়ক ৩০ দশমিক ৫০ কি.মি এবং কাচাসড়ক ১ হাজার ৩৩৩৭ কি.মি, বাঁধ ৪১কি.মি, ব্রীজ/কার্ল ভার্ট ৪১টি, ক্ষতিগ্রস্ত নলকূপ ৯ হাজার ৭৩৪টি, আশ্রয়ণ ১৮৬টি কেন্দ্রে আশ্রিত লোকসংখ্যা ৭২হাজার ২৪জন। বন্যা দুর্গতদের জন্য ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

জেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৫ মে.টন জিআর চাল, ৯ লক্ষ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬ হাজার ৫২৫টি পরিবারে ১৫ কেজি করে ৬ হাজার ৪২৮ মে.টন ভিজিএফ’র বরাদ্দ উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন