শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গফরগাঁওয়ে চালককে খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাই

গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ৪:৫০ পিএম

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় সুজন মন্ডল (২৫)নামে জনৈক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে গেছে নারী ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে পাগলা থানাধীন নিগুয়ারী ইউনিয়নের সুতারচাপুর গ্রামে।পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)শাহীনুজ্জামান জানান,খবর পেয়ে শনিবার সকালে চাকুয়া গ্রামের শীতলক্ষা-বানার নদীর তীর থেকে নিহত সুজন মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবর সূত্রে জানা যায়,সুতারচাপর গ্রামের বাবুল মন্ডলের ছেলে সুজন মন্ডল পাগলা থাসাধীন ত্রিমোহনী-রারইহাটি সড়কে ভাড়ায় অটোরিক্সা চালাতেন।শুক্রবার রাতে বোরকা পরিহিত ছিনতাইকারী দলের জনৈক নারী সদস্য যাত্রী সেজে ত্রিমোহনী অটোষ্ট্যান্ড থেকে বকুলতলা যাওয়ার কথা সুজন মন্ডলের আটোরিক্সা রিজার্ভ ভাড়া নেয়।অটোরিক্সা ভাড়া নেওয়ার প্রায় ঘন্টা খানেক পর থেকে সুজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।পরে অনেক রাত পর্যন্ত সুজন মন্ডল বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজনের মনে সন্দেহ হয়।পরিবার লোকজন বহু স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও রাতে সুজনের সন্ধান পায়নি।পরদিন শনিবার ভোরে চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সুজন মন্ডলের পরনের লুঙ্গি ও গামছা দেখে সন্দেহ আরো বেরে যায়।খোঁজা খুজি করে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বে চাকুয়া পুরাতন ঘাাট সংলগ্ন শীতলক্ষা-বানার নদীর তীরে সুজন মন্ডলের লাশ পাওয়া যায়।পরিবারের লোকজনের ধারনা, খুনীরা সুজন মন্ডলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর লাশ ফেলে রেখে অটোনিক্সা ছিনতাই করে পালিয়ে গেছে।

নিহতের চাচা রফিকুল ইসলাম জানান,সুজন মন্ডল এক সন্তানের জনক।প্রায় চার বছর আগে সে বিয়ে করেছে।অটোরিক্সা ভায়ায় চালিয়ে চলতো সুজন মন্ডলের সংসার।নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দীন শেখ জানান,সুজন মন্ডল আওয়ামীলীগের এক জন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খোঁজে বের করার জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন