শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

চবিতে ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন

চবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ৫:৩১ পিএম

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতায় এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট। আজ (শনিবার) প্রশাসনিক ভবনে ভিসির সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সিনেটের ৩১ তম সভায় এ বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ এ বাজেট পেশ করেন।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার চাহিদার বিপরীতে ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বরাদ্দ দিয়েছে ৩১৬ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে পাওয়া যাবে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এবারের বাজেটেও বরাবরের মতো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ খাতে মোট ২১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের প্রায় ৬৩ শতাংশ। এদিকে এ অর্থবছরে গবেষণা খাতে আগের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা যা মোট বাজেটের প্রায় ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর যার পরিমাণ ছিলো ২ কোটি ৭৫ লাখ। অন্যদিকে পেনশন ও অবসর খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা।

বাজেট অধিবেশনে চবি সিনেট সদস্য সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার তৈরী করা যেতে পারে। এতে করে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। এছাড়া আমি মনে করি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে সোলার সিস্টেম চালু করা যেতে পারে।
সাবেক এ মন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েকে সুরক্ষিত রাখতে সীমানাপ্রাচীর হিসেবে এর চারপাশে কৃত্রিম হ্রদ তৈরী করা যেতে পারে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিনেটররা। তারা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানম বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে আমরা ছাত্ররাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ সিনেটে ছাত্রদের দাবি নিয়ে কথা বলার জন্য কোন ছাত্র প্রতিনিধি নেই, যা অত্যন্ত দুঃখজক। আমার মনে হয় চাকসু নির্বাচনের দিকে আমাদের মনযোগ দেয়া উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছি আমি। পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পেলে অবশ্যই চাকসু এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন নিয়ে ভাববো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন