বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছেলেধরা গুজব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র

বরিশালের ডিআইজি

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

ঝালকাঠিতে ছেলেধরা প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা করেছে জেলা পুলিশ। গতকাল সকাল ১১টায় শহরের পেট্রোলপাম্প মোড় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে পুলিশ লাইন্সে গিয়ে শেষ হয়। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। পরে পুলিশ লাইন্সের দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সুধী সমাবেশ। সমাবেশে ঝালকাঠি জেলার ২৪ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। তারা মাদক ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসায় ডিআইজি ফুল দিয়ে তাদের বরণ করেন। পরে তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সেলাই মেশিন ও মাছ ধরার জাল দেওয়া হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি বলেন, পদ্মাসেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে, এটা সম্পূর্ণ গুজব। ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি বা মেরে ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধীকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ছেলেধরা গুজব নিয়ে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। সবাইকে সচেতন হয়ে গুজবকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান ডিআইজি। তিনি বলেন, বরিশালে যোগদানের পর থেকে এই বিভাগে ৯৯৩ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন, নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয় ২৭৮ জনকে এবং পুনর্বাসন করা হয় ৩০৯ জনকে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর খান, সরকারি কৌঁসুলি আবদুল মান্নান রসুল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু। কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলায় ১৭১ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের মধ্যে ৬২ জনকে নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫০ জনেরও বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন