শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তামিমের কণ্ঠে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ কলোম্বোর একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। সিরিজ বাঁজিয়ে রাখতে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই তামিম ইকবালের দলের সামনে। এমন পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের নতুন অধিনায়ক তামিম।

পরশু প্রেমাদাসার প্রথম ম্যাচটি ছিল লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচ। বিদায়ের দিনেও বল হাতে ইয়োর্কার মাস্টার ছিলেন চিরচেনা সেই রূদ্রমূর্তিতে। তামিম-সৌম্যদের জন্য তাই মালিঙ্গার না থাকাটা স্বস্তির খবর। কিন্তু ফিল্ডিং ও ব্যাটিংয়ে দলের যে দশা তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ কই! তবে সবকিছু কাটিয়ে সিরিজের ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী তামিম। এজন্য দলের প্রত্যেককে নিজের সেরাটা দেবেন বলে আশাবাদী দলীয় অধিনায়ক, ‘আমরা সিরিজে এখনো টিকে আছি। শুধু আবার একতাবদ্ধ হতে হবে। আর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এ সিরিজে আপনি কিছু করতে চাইলে দায়িত্ব নিতে হবে। ভালো শুরু পেয়ে ৫০, ৬০ ও ৭০ রানে ব্যাট করে স্কোর বড় করতে হবে।’

প্রথম ম্যাচে মুশফিক-সাব্বির ছাড়া রান করতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান। এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিই যা একটা আশার সঞ্চার ঘটিয়েছিল ম্যাচে। সাব্বিরের বিদায়ের পরও লড়াই করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেই লড়াই থামিয়ে যখন তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন, কার্যত তখনই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে মুস্তাফিজ-রুবেল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছিলেন। আর পরাজয়ের ক্ষণগণণাও কমিয়ে এনেছিলেন কিছুটা। এর বেশি কিছুই সম্ভব ছিল না তাদের।

এ ম্যাচে চোখে আঙুল দিয়ে লঙ্কানরা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের দুর্বলতা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্চ মাশরাফি-সাবিক বিহীন বাংলাদেশের সামনে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের পথ বাংলাদেশ জানে, এমনটাই মনে করেন দলের অন্তবর্তীকালিন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। তবে এক ম্যাচ হারলেও আমরা বাউন্স ব্যাক করব। আমরা ভুল থেকেই শিখছি। পরবর্তীতে এই ভুল করতে পারব না- এটা চেলেরাও বোঝে। আমাদের দলের সামর্থ্য আছে, ইনশাল্লাহ কামব্যাক করতে পারব।’

ব্যাট হারে সময়টা ভালো যাচ্ছে না তামিমের। তার উপর মাশরাফি, সাকিব না থাকায় অধিনায়কের বাড়তি দায়িত্বও তার কাঁধে। প্রথম ম্যাচে কোন রান না করেই আউট হয়েছেন তামিম। নিজের কঠিন সময়কেও মনে করিয়ে দিলেন দেশসেরা ওপেনার, ‘আমি সত্যিই সংগ্রামের মধ্যে আছি। যখন আমি নিজে অধিনায়ক, তখন আমার প্রয়োজন ছিল সামনে থেকে ভালো পারফর্ম করা। কিন্তু সেটা পারিনি। তবে, খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছে।’

তামিম যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রমান মিলল ম্যাচের আগে অনুশীলনের মঞ্চে। গতকাল বাংলাদেশ দলের মাত্র তিনজন ক্রিকেটার ছিলেন অনুশীলনে। অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে ছিলেন এনামুল হক বিজয় ও বাহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মাত্র তিনজন কেন অনুশীলনে এই প্রশ্নে জবাবে সুজন বলেন, ‘মূলত আজকে (গতকাল) অনুশীলন বন্ধ ছিল। এখানে গরমটাও অনেক, তার উপর গতকাল (শুক্রবার) ম্যাচ শেষ করে হোটেলে ফিরতেও দেরি হয়েছে। যারা করতে চেয়েছে তারাই অনুশীলন করছে।’

প্রথম ম্যাচে যাচ্ছেতাইভাবে দল হগারলেও আজ একই দল নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। তার মানে তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলামদের দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে। এমন আভাসই দিযেছেন খালেদ মাহমুদ, ‘প্রথম ম্যাচের জন্য সম্ভাব্য সেরা দলই নেওয়া হয়েছিল। এখন সে কথায় তো বিশ্বাস রাখতে হবে আমাদের। সে বিশ্বাস আমার আছে। ওরা হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারে, আরেকটু দায়িত্ব নিতে পারে, সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু দলে পরিবর্তন আনার কথা চিন্তাই করিনি।’

টিকে থাকার লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে মনস্তাত্বিকভাবেও এগিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরও সিরিজ জেতার রেকর্ড আছে টাইগারদের। একথা স্বরণ করে নিতে হবে অনুপ্রেরণা। তাহলেই আসবে কাঙ্খিত জয়। শেষ ম্যাচটি দাঁড়াবে সিরিজ নির্ধারনের মঞ্চ হিসেবে। সবকিছুর জন্য প্রয়োজন মাঠে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নেয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন