ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় জুওয়ারা শহরে সম্প্রতি কয়েকদিনে ভেসে এসেছে ১৩৩ জন শরণার্থীর লাশ। রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য দিয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র আল-খামিস আল বোসাইফি রোববার বলেছেন, শরণার্থীদের তিন-চতুর্থাংশই নারী। আর শিশু রয়েছে ৫ টি। এ শরণার্থীরা মূলত সাব সাহারা আফ্রিকান বলে জানান তিনি। স্থানীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, এ শরণার্থীরা কাছাকাছি সবরাথা শহর থেকে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই স্থানটি থেকে শরণার্থীদের নৌযাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে শত শত শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালিতে পৌঁছানোর মরিয়া চেষ্টায় শরণার্থীরা নৌকায় একটি আসনের জন্য মানবপাচারকারীদের হাতে শত শত ডলার তুলে দেয়। অথচ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে করে মানবপাচারকারীরা মাত্রাতিরিক্ত শরণার্থী নিয়ে সমুদ্রে ভেসে পড়ে। রয়টার্স জানায়, তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার সমুদ্র পথের তুলনায় লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশের সমুদ্র পথ অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইউরোপে প্রবেশের জন্য আগে শরণার্থীরা তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথ বেছে নিত। কিন্তু শরণার্থীর ঢল আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মার্চে ওই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ওই পথে শরণার্থী প্রবেশ অনেকটাই কমে গেছে। রেডক্রসের তথ্যানুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছেছে। এ সময় পথে সমুদ্রে ডুবে মারা গেছে দুই হাজারের বেশি মানুষ। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন