সড়ক দুর্ঘনায় কেউ হতাহত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাই ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করতে পারবেন। ওই পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছাড়া অন্য কেউ প্রতীকার চেয়ে জনস্বার্থে রিট করতে পারবেন না। সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় ট্রেনের সঙ্গে বরযাত্রী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বর-কনে-শিশু সহ ১১ জন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হলে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারির পর এ মন্তব্য করেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় বর-কনেসহ ১১ জন নিহত হওয়ায় তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ১৮ জুলাই রিট করা হয়। আহতদের জন্য চাওয়া হয় ১০ লাখ টাকা করে। মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট করেন। গতকাল রিটের শুনানি ছিলো। আদালতে হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনো লেভেল ক্রসিং স্থাপন থেকে রেলওয়েকে বিরত থাকতে হবে। সারাদেশের অবৈধ রেল ক্রসিং বন্ধ, সব রেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাযথ গেটম্যান দেয়া এবং ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন নিষিদ্ধেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক রেল ক্রসিংয়ে গেট নির্মাণের ও গেটম্যান নিয়োগের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। রিটে মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, এলজিআরডি সচিব এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত : গত ১৫ জুলাই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি বিয়ের মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বর-কনে ও শিশুসহ ১১ জন নিহত হন। আহত হোন ৩ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের আইনজীবী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন