শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রস্তুত ৩৫ হাজার কোরবানির পশু

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বিখ্যাত গরুর বাজার নরসিংদীর পুটিয়ার হাটে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। গত শনিবার থেকে হাজার হাজার কোরবানির গরু, খাসি, মহিষ আসতে দেখা গেছে এ হাটে। কোরবানির পশুর ৯০ ভাগই দেশীয় জাতের। গরুর পাশাপাশি ব্যাপক হারে বাজারে আসছে মহিষও।

ছোট পশুর মধ্যে রয়েছে ছাগল ও ভেড়া। ভোক্তা পর্যায়ে এখনো কোরবানির গরু বা পশু বিক্রি শুরু হয়নি। এখন চলছে পাইকারি গরু ব্যবসায়ীদের হাত বদল। নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী পুটিয়ার হাটে সারা বাংলাদেশ থেকে গরু আমদানি হয়ে থাকে। উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, বগুড়া দিনাজপুর, কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, ময়মনসিংহ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর সাতক্ষীরা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি করে গরু নিয়ে আসে পাইকারি বিক্রেতারা। তারা পুটিয়ার হাটে গরু আমদানি করে স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে ভোক্তা পর্যায়ে।

জানা গেছে, এ বছর গরুর দাম আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর যে গরু বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায়, এবছর সেগুলোর দাম হাঁকা হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। সা¤প্রতিককালে গরুর গোশতের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা। কেজি প্রতি গরুর গোশতের দাম বৃদ্ধির হারেই বেড়েছে গরুর দাম। আগের দিনে কোরবানির পশুর গোশতের কোন হিসাব করা হতো না। এখন গোশত হিসাব করে গরুর দাম হাঁকা হয়। যার ফলে কোরবানির পশু কিনে ভোক্তারা খুব একটা লাভবান হতে পারেনা। কোরবানির গরু বিক্রি করে লাভবান হয় খামারি ও পাইকারি বিক্রেতারা।

প্রতিবছর নরসিংদীতে খামার বা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গরু লালন পালন করা হয়। এ বছর ও নরসিংদী জেলায় পাঁচ সহস্রাধিক খামারে ২৪ সহস্রাধিক কোরবানির পশু পালন করা হয়েছে। এসব কোরবানির পশুর মধ্যে রয়েছে ১৮ হাজার ৮৫৯ টি ষাঁড়, বলদ, গাভী এবং মহিষ এবং ৫৪৬৭টি ছাগল ভেড়া। এসব কোরবানির পশু এখনো বাজারে আমদানি হয়নি। এর ছাড়া কৃষক পর্যায়ে লালন পালন করা হয়েছে দেশীয় জাতের ষাঁড় বলদ গাভী মহিষ। সব মিলিয়ে কমবেশি ৩৫ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে । সাধারণ ক্রেতাদের আশা সকল পর্যায়ে থেকে কোরবানির পশু আমদানি হলে দাম আরও কিছুটা কমে আসতে পারে।

নরসিংদী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নরসিংদীতে খামার এবং পারিবারিক পর্যায়ে ব্যাপক সংখ্যক কোরবানির পশু পালন করা হয়েছে। এসব কোরবানির পশু বাজারে আমদানি হলে দাম অনেকটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এবারও দেশীয় জাতের গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাইরে থেকে গরু আমদানি করা না হলেও কোরবানির পশু নিয়ে কোন সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। দেশের অভ্যন্তরেই প্রচুর সংখ্যক কোরবানির পশু মজুত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন